মুখের ওপর না করে দিলেন এই লেগ স্পিনার, মুখ পুড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের - জেনে নিন কেন? 1

স্বল্প সময়ের জন্য় বাংলাদেশের বোলিং কোচ হওয়ার প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন স্পিন বোলার স্টুয়ার্ট ম্য়াকগিল। সামনেই ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সামনে দু’ম্য়াচের টেস্ট সিরিজ অপেক্ষা করছে। সাতাশ অগস্ট ঢাকায় প্রথম টেস্ট এবং চৌঠা সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট ম্য়াচ শুরু হবে। তার আগে ম্য়াকগিলের মতো একজন ব্য়ক্তিত্ব না করে দেওয়ায়, খুব চাপে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। যদিও ঘরের বাইরে মুখ পোড়ার ভয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান পাপন এই কথা অস্বীকার করছেন। বলছেন, কোচ হিসেবে পাওয়ার ব্য়াপারে ম্য়াকগিল তাঁদের তালিকায় সবার ওপরে ছিলেন না। বোর্ডের এক উচ্চ-পদস্থ কর্তা নাজমূলের বক্তব্য়কে জোরাল করার জন্য় মিডিয়ার সামনে বক্তব্য় রাখেন, ”আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি যা বলার আগেই আপনাদের বলে দিয়েছেন। বাংলাদেশ টিমের স্পিন বোলিং কোচ হওয়ার ব্য়াপারে স্টুয়ার্ট ম্য়াকগিল আমাদের প্রথম বাছাই ছিলেন না।”
খবরে প্রকাশ, ছেচল্লিশ বছরের ম্য়াকগিলকে বিসিবি তিনমাসের জন্য় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কারণ, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফরে আসছে স্টিভ স্মিথের নেতৃত্বে। আর ম্য়াকগিল যেহেতু অস্ট্রেলিয়ান, তাই বাংলাদেশকে তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য় করতে পারবেন। কিন্তু, ম্য়াকগিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দেন। কোনওভাবেই তিনমাসের জন্য় বাংলাদেশের কোচ হতে চান না অস্ট্রেলিয়ার এই প্রাক্তন লেগ-স্পিনার। এইভাবে মুখের ওপর সরাসরি না করে দেওয়ায় বিসিবি চরম লজ্জায় পড়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চে। আর তাই বিসিবি তাদের অপদার্থতা ঢাকতে বক্তব্য় রাখছে, ‘ম্য়াকগিল ব্য়ক্তিগত কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রস্তাব এই মুহূর্তে গ্রহণ করতে পারছেন না।’ ম্য়াকগিলকে প্রথম পছন্দ হিসেবে স্বীকার না করলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এর পরের বক্তব্য়ে তা প্রকাশ। ওই উচ্চ-পদস্থ আধিকারিক বলেন, ”এবার আমরা দ্বিতীয় বা তৃতীয় পছন্দকে নিয়ে আলোচনা করব। আশা করছি, আগামী দু-একদিনের মধ্য়ে সংবাদমাধ্য়মকে এব্য়াপারে জানিয়ে দিতে পারব।”
ম্য়াকগিল না করে দিলেও, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার মার্ক ও’নিলকে তাদের ব্য়াটিং কোচ করে এনেছে বিসিবি। আপাতত, তাঁকে একমাসের জন্য় কোচ করা হয়েছে। যদি তাঁর প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের উন্নতি হয়, তাহলে চুক্তি বাড়ানোর কথা ভেবে দেখবে বোর্ড।
উল্লেখ্য়, ২০০০ সালে টেস্ট খেলার যোগ্য়তা অর্জন করার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট একটা ট্রানজিশন পিরিয়ডের মধ্য়ে দিয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের মানিয়ে নিতে অনেকটা সময় পার করতে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে। তবে, গত একবছরে বাংলাদেশের পারফরমেন্সে বেশ ভাল রকম উন্নতি হয়েছে। গত চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল তারা। তার আগে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়াকেও হারিয়েছে টেস্ট ম্য়াচে।
এদিকে, এই মুহূর্তে আইসিসি টেস্ট ব়্য়াঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়া চার নম্বরে রয়েছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে এসে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজ খেলার কথা থাকলেও, সেবার নিরাপত্তার কারণে সিরিজ বাতিল করতে হয়েছিল। ফলে, অস্ট্রেলিয়ার এবারের বাংলাদেশ সফর বিশেষ কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *