ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের দায়িত্ব সামলানোর পরই সৌরভ গাঙ্গুলী একের পর এক বেশকিছু বড়ো পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন। সৌরভ গাঙ্গুলী বিসিসিআইয়ের সভাপতি হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছেন আর তাকে বাস্তবায়িত করা শুরু করেছেন। এইভাবে এখন আরো একটি নতুন পরিকল্পনা নিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী কাজ করছেন আর তা শুরু করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন।
বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী এখন করছেন এই নতুন প্রোজেক্টে কাজ
বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী ভারতের প্রাক্তন তারকা রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে মিলে একটি পরিকল্পনা করেছেন যার অধীনে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের জন্য ব্যাঙ্গালুরুতে একটি নতুন এক্সিলেন্স সেন্টার তৈরি হতে চলেছে। এই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে আর ব্যাঙ্গালুরুতে অবস্থিত ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির জায়গায় সেন্টার অফ এক্সিলেন্স তৈরি হতে চলেছে। এর জন্য খবরের মোতাবেক ৫০০ কোটি টাকার মুলধন রয়েছে আর এটা তৈরি হতে প্রায় দু বছর সময় লাগবে। সৌরভ গাঙ্গুলী এই নতুন প্রোজেক্টের জন্য কিছুদিন আগেই ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন আর এই বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে সহমত পোষণ করেছেন।
নতুন প্রোজেক্টের জন্য সৌরভ গাঙ্গুলী আর রাহুল দ্রাবিড় হলেন সহমত
বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী সম্প্রতিই এনসিএ প্রধান রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন, যেখানে এই দুজনেই নতুন প্রোজেক্ট নিয়ে সহমত হয়েছিলেন। বিসিসিআইয়ের এক আধিকার এটা নিয়ে বলেছেন যে প্রোজেক্টের জন্য কোনো বিশেষ মুলধন দেওয়া যাবে না। প্রত্যেক কাজের জন্য টেন্ডার জারি করা হবে। কিন্তু প্রারম্ভিক পরিকল্পনা এইভাবেই করা হচ্ছে। এটা অনুমান করা যেতে পারে যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচা হবে। এতে উন্নতিও হবে। ব্লু প্রিন্টের জন্য এই পরিকল্পনায় ৬ মাস দেরীতে চলছে কিন্তু নতুন বিসিসিআইয়ের শাসনের অধীনে এই কাজের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। বিসিসিআইয়ের আশা যে সিওএ আগামী দু বছরে কার্যত্মক হবে এবং এনসিএর নির্দেশক রাহুল দ্রাবিড় এতে সক্রিয়ভাবে শামিল রয়েছেন।
পিচ তৈরি করার জন্য বিদেশের মাটির করা হতে পারে ব্যবহার
বিসিসিআইয়ের এই আধিকারি আগে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে বলেন যে, “পিচের চরিত্র তৈরি করতে অনেক কাজ করা হয়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড আর ইংল্যান্ডের মতো দেশে পাওয়া পিচের নকল করার জন্য ওই পিচগুলিকে তেমন ভাবেই তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরণের মাটির ব্যবহার করা হবে। এই খেলা সম্পূর্ণভাবে আলাদা হবে যেখানে ট্যুরিস্টরাও খেলেন। ওয়ার্মআপ ম্যাচ আর বোর্ড দ্বারা অন্য পিচ তৈরি করা হবে। মাঠের ব্যবহার ঘরোয়া টুর্নামেন্টের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি দেশজুড়ে মাঠে কোনো পয়েন্ট উপলব্ধ না হয় তো এনসিএ সেটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবে”।