ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো নক্কারজনক ঘটনা বিপিএলের আঙিনায়ও বাসা বেঁধে রাতারাতি কমিয়ে দিয়েছিল পদ্মাপারের ক্রোড়পতি ক্রিকেট লিগের জাঁকজমক। লক্ষ্যমাত্রা ৪০ কোটি টাকা থাকলেও, গতবছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে মোট ২৫ কোটি টাকা আয় করেছিল বিসিবি। তবে এবারের পরিস্থিতি একেবারে আলাদা ছিল। কিন্তু সেই জায়গা থেকে যাবতীয় বিতর্ককে পিছনে ফেলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ সংস্করণ থেকে আবারও ২৫ কোটি টাকা মুনাফা করলো বিসিবি।
এবারের বিপিএল শুরু হওয়ার আগে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, গতবারের তুলনায় এবারে এই প্রতিযোগিতা বিশেষ নাম কামাতে পারবে না। তবে মাঠের বাইরের কিছু বিতর্কিত ঘটনা ছাড়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ আসর মোটের ওপর সফল বললেও চলে। আর্থিক লাভ লোকসানের দিক থেকে অন্য আসরের তুলনায় এবারে ছাপিয়ে যেতে না পারলেও, চতুর্থ আসরকে কমবেশি সফল বলা চলে।
টাইটেল স্পন্সর, মিডিয়া স্বত্ব, টিকিট বিক্রি, মোবাইল স্কোরিং স্বত্ব বিক্রি এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি’র সুবাদে এবারের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ বোর্ডের মোট আয় ৪৪ কোটি টাকা। অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে শুধু মুনাফা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। এবং এবারের বিপিএল আয়োজন করতে বিসিবি-র খরচ হয়েছে মাত্র ১৬ কোটি টাকা। পদ্মাপারের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি আফজালুর রহমান বলেন, “বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান আমাদের জানিয়েছেন, বিপিএলের তৃতীয় সংস্করণের পাশাপাশি এবারের আসর থেকেও তারা ২৫ কোটি টাকা আয় করেছেন।”