ভালো খবর মুম্বইয়ের উঠতি অফ-স্পিনার অঙ্কুশ জয়সওয়ালের জন্য়। সন্দেহজনক বোলিং অ্য়াকশনের অভিযোগ থেকে তাঁকে মুক্তি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) ছাড় দেওয়ায় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাঠে নামতে আর কোনও বাধা রইল না অঙ্কুশের। তাঁর বোলিংয়ের মধ্য়ে কোনও রকম খুঁত খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে বিসিসিআই জানিয়েছে। ২০১৫-১৬ মরশুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পরই মুম্বইয়ের এই উঠতি ক্রিকেটারের অবৈধ বোলিং অ্য়াকশনের অভিযোগ আনা হয়।
- ২৭ জুলাই বিসিসিআই অঙ্কুশ জয়সওয়ালের বোলিং অ্য়াকশনকে ত্রুটিমুক্ত বলে জানায়।
- ২০১৫-১৬ রঞ্জি ট্রফি মরশুমে তাঁর বোলিং অ্য়াকশন নিয়ে অভিযোগ ওঠে।
- ১১ জুলাই চেন্নাইতে এই তরুণ অফ-স্পিনারের বায়ো মেকানিকাল টেস্ট নেওয়া হয়।
- এমসিএ‘র সহ-সভাপতি বিনোদ দেশপান্ডে অঙ্কুশের বোলিং অ্য়াকশনকে বিসিসিআই‘য়ের ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
- অঙ্কুশ জওয়াসওয়াল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকেই ৫ উইকেট নেন।
বিসিসিআই‘য়ের কাছ থেকে খবর আসার পরই মুম্বই ক্রিকেট অ্য়াসোসিয়েশন (এমসিএ)-এর সহ-সভাপতি বিনোদ পান্ডে সাংবাদিকদের জানান, ”বিসিসিআই আমাদের জানিয়েছে, অঙ্কুশ জওসওয়ালের বোলিং অ্য়াকশনে কোনওরকম ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে তাঁর বোলিং অ্য়াকশন বৈধ। এবার থেকে বিসিসিআই পরিচালিত টুর্নামেন্টে খেলার ওপর আর কোনও বাধা নেই অঙ্কুশের।”
বিসিসিআই তাঁর বোলিং অ্য়াকশনে বৈধতার শীলমোহর দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত অঙ্কুশ। সেই সঙ্গে তিনি এমসিএ‘র সকল স্টাফ ও বোলিং কোচ ওমকার সালভিকে ধন্য়বাদ জানিয়েছেন। ক্রিকেটের মূল স্রোতে ফেরার জন্য় তাঁদের সঙ্গে বোলিং অ্য়াকশন নিয়ে অনেক খেটেছিলেন অঙ্কুশ। বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পাওয়াকে সেই প্রচেষ্টারই ফল হিসেবে দেখছেন তিনি। অঙ্কুশ বললেন, ”সবাই আমাকে জিজ্ঞাসা করছিল, ব্য়াপারটা কী? কিন্তু, আমার কাছে উত্তর দেওয়ার মতো কোনও ব্য়াখ্য়া ছিল না। এমসিএ আমাকে নৈতিক সমর্থন সবসময়ে দিয়ে এসেছে। বিশেষ করে সালভি স্য়ার। আমি আবার পারফর্ম করতে চাই। মুম্বই দলে ফের জায়গা করে নিতে চাই।”
২০১৫-১৬ মরশুমে রঞ্জিতে মুম্বইয়ের হয়ে মধ্য়প্রদেশের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় অঙ্কুশ জয়সওয়ালের। ২৩-২৫ নভেম্বর ইন্ডোরের হোলকার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় গ্রুপ-বি‘র ওই ম্য়াচটিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভারে ৩০ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট নিয়ে সবাইকে অবাক করে দেন মুম্বইয়ের এই তরুণ ক্রিকেটারটি। তারপরই দেবেন্দ্র বুন্দেলার মধ্য়প্রদেশ টিম অঙ্কুশের বোলিং অ্য়াকশন সন্দেহজনক বলে অভিযোগ আনে।
প্রথম ইনিংসে ১৯ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে চারটি উইকেট দখল করেছিলেন অঙ্কুশ। ব্য়াট হাতেও ১৯ বলে ২টি চার ও একটি ছয়সহ ২০ রান করে মুম্বইয়ের ইনিংসে অবদান রাখেন।
গত ১১ জুলাই চেন্নাইয়ের পরুরে সেন্টার ফর স্পোর্টস সায়েন্স সেন্টারে মুম্বইয়ের আরও এক ধীর গতির বোলার সাদিক সিং ও ফাস্ট বোলার রিদ্ধেশ পাওয়ারের সঙ্গে বায়ো মেকানিকাল টেস্ট দেন। ওখান থেকে রিপোর্ট আসার পরই বিসিসিআই সবুজ সঙ্কেত দেয় এমসিএ‘কে এব্য়াপারে। কাগজে-কলমে রিপোর্ট পেতে কয়েক দিন সময় লাগলেও মাঠে নামার ওপর কোনও বাধা রইল না অঙ্কুশের।
উল্লেখ্য়, অঙ্কুশের বাবা পূর্ব মুম্বইয়ের বান্দ্রার এমআইজি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মাঠ দেখভালের কাজ করেন। তাঁর স্বপ্ন ছেলেকে বড় ক্রিকেটার হতে দেখা।