এশিয়া কাপের প্রথম লীগ ম্যাচে বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কাকে ১৩৭ রানে দুর্দান্ত মাত দেয়। বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার মধ্যে হওয়া এই ম্যাচে বেশ কিছু দুর্দান্ত এবং মজাদার রেকর্ড হয়। আজ আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনে এই ম্যাচে হওয়া কিছু দুর্দন্ত আর মজাদার রেকর্ডের ব্যাপারে জানাব।
আসুন একবার দেখে নেওয়া যাক গতকালের ম্যাচের রেকর্ডের উপর
১—মুশফিকুর রহিম গতকাল নিজের ওয়ানডে ক্রিকেট কেরিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করেন।
২—এশিয়া কাপে সবচেয়ে বড় স্কোর করার ব্যাপারে মুশফিকুর রহিম, ইউনিস খানের সঙ্গে সংযুক্তভাবে দ্বিতীয় স্থানে চলে এলেন। দুজনেই এশিয়া কাপে ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেন।এশিয়া কাপে সবচেয়ে বড় স্কোর বিরাট কোহলির নামে রয়েছে। যিনি ২০১২য় পাকিস্থানের বিরুদ্ধে ১৮৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
৩—গতকাল মুশফিকুর রহিম ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। এটা তার ক্রিকেট কেরিয়ারের সবচেয়ে সেরা স্কোর।
৪—মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে কোনও ওয়ানডে ইনিংসে দ্বিতীয় সেরা স্কোর করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে সেরা স্কোর তামিম ইকবাল করেছেন। তিনি ১৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ওয়ানডেতে।
৫—মহম্মদ মিথুন এই ম্যাচে ৬৮ বলে ৬৩ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এটি তার ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি ইনিংস ছিল।
৬—মুশফিকুর রহিম আর তামিম ইকবালের মধ্যে দশম উইকেট জুটিতে ৩২ রানের পার্টনারশিপ হয়। এটা কোনও ওপেনারের শেষ পর্যন্ত থেকে ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পার্টনারশিপ। এর আগে ২০০০ এ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অকল্যান্ডে গ্লেন ম্যাকগ্রা আর ডেমিয়েন মার্টিন ৩১ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন।
৭—বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এটি সপ্তম জয়। এর আগে দু দলের মধ্যে মোট ৪৫টি ম্যাচ খেলা হয়েছিল। যেখানে ৬টি ম্যাচ বাংলাদেশের দল জিতেছে আর ৩৬টি ম্যাচে শ্রীলঙ্কা দল জেতে। দু’দেশের মধ্যে দুটি ম্যাচে কোনও ফলাফল হয় নি।
৮—মুশফিকুর রহিম উইকেটকিপার হিসেবেও সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলা খেলোয়াড় হয়ে গেলেন। তার আগে উইকেটকিপার হিসেবে কুমার সাঙ্গাকারা ২০০৮ এ ১২১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।