ভারতের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা ক্রিকেট দল এবং কর্ণাটকের মধ্যে সেমিফাইনালের ম্যাচ খেলা হয়েছে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ঘরোয়া দর্শকদের মাঝে মঙ্গলবার খেলার চতুর্থদিন বাংলা কর্ণাটককে ১৭৪ রানে হারিয়ে দিয়েছে। অভিমণ্যু ঈশ্বরণের অধিনায়কত্বে ১৩ বছরের দীর্ঘ সময় পর বাংলা ফাইনালের জন্য কোয়ালিফাই করেছে।
কর্ণাটক টসে জিতে নিয়েছিল বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত
বাংলা ক্রিকেট দল এবং কর্ণাটক ক্রিকেট দলের মধ্যে ইডেন্স গার্ডেনে খেলা হওয়া সেমিফাইনাল ম্যাচে কর্ণাটক টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিণামস্বরূপ প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলার দল প্রথম ইনিংসে ৩১২ রান করে। জবাবে ব্যাটিং করতে নামা কর্ণাটকের দল বাংলার আঁটোসাটো বোলিংয়ের সামনে টিকতে পারেনি আর ১২২ রানেই অলআউট হয়ে যায়। অন্যদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার দল ১৬১ রানে অলআউট হয়ে যায়। এরপর বাংলার বোলাররা জয়ের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে উইকেট টেকিং বোলিং করা শুরু করে। যার ফলে করুণ নায়ারের নেতৃত্বাধীন কর্ণাটক দল ১৭৭ রানেই অলআউট হয়ে যায়। এর ফলে বাংলার দল ১৭৪ রানের বড়ো ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ফাইনালে প্রবেশ করেন।
এই খেলোয়াড়রা করেছেন মনোযোগ আকর্ষণ
অভিমণ্যু ঈশ্বরণের নেতৃত্বাধীন বাংলার দল ১৩ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। কর্ণাটকের সঙ্গে খেলা হওয়া সেমিফাইনাল ম্যাচে অনুষ্টুপ মজুমদার এবং জোরে বোলার ঈশান্ত পোড়েল সকলের মনোযোগ নিজের দিকে আকর্ষিত করেছেন। অনুষ্টুপ প্রথম ইনিংসে ২০৭ বলে ১৪৯ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৮ বলে ৪১ রান করেন। এছাড়াও ঈশান্ত পোড়েলে বোলিংয়ের যত প্রশংসা করা যায় ততই কম। পোড়েল নিজের বিস্ফোরক বোলিংয়ে জাতীয় দলের ইনফর্ম ব্যাটসম্যান কেএল রাহুলকে মাত্র ২৬ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। প্রথম ইনিংসে ঈশান্ত রাহুল সহ ৫ উইকেট নেন। এছাআও জোরে বোলার মুকেশ কুমার দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলার ঝুলিতে জয় এনে দেন।
৯ মার্চ খেলা হবে ফাইনাল ম্যাচ
বাংলা ক্রিকেট দল কর্ণাটক ক্রিকেট দলকে সেমিফাইনালে ১৭৪ রানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। এখন ফাইনালের জন্য বাংলার মুখোমুখি সৌরাষ্ট্র-গুজরাটের মধ্যে চলা সেমিফাইনালের জয়ী দল হবে। এই ম্যাচ ৯ মার্চ দোলের একদিন আগে খেলা হবে। বাংলা যে ফর্মে রয়েছে সেই হিসেবে তাদের কাছে নিজেদের তৃতীয় রঞ্জি খেতাব জেতার দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে। আপনাদের জানিয়ে দিই যে ২০০৬-০৭ মরশুমে দীপ দাশগুপ্তর অধিনায়কত্বে শেষবার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল। যেখানে তারা মুম্বাই ক্রিকেট দলের হাতে ১৩২ রানে হারতে হয়েছিল। বাংলার দল ১৯৩৮-৩৯এ প্রথমবার আর ১৯৮৯-৯০ মরশুমে শেষবার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল যা প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর প্রথম শ্রেণীতে ডেবিউ মরশুম ছিল।