ক্রিকেটের অনেক বড় ছোট ঘটনার মধ্যে দিয়েই শেষ হলো ২০১৮ সাল। আগের বছরগুলোতে এতটা উত্থানপতন দেখা যায়নি ক্রিকেটে। যেহেতু এই বছর শেষ হওয়ার দিকে, চলুন দেখে নিই ২০১৮ সাল ক্রিকেটে আমাদেরকে কি কি শিখিয়েছে
১. টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পুরাতনই ভালো
২০১৮ সাল চেন্নাই সুপার কিংসের আইপিএলে প্রত্যাবর্তনের বছর হিসেবে সবার মনেই জায়গা করে নিয়েছে। চেন্নাই ভিত্তিক এই ফ্রাঞ্চাইজি দলটির পাশাপাশি এবছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আইপিএলে ফিরেছে রাজস্থান রয়েলসও।
আইপিএলে ফিরে নিলাম থেকে একাধিক বয়স্ক ক্রিকেটারকে দলে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। এত বয়স্ক ক্রিকেটার দলে নেওয়ার কারণে সমালোচকদের তোপের মুখেও পড়তে হয় দলটিকে। তবে দলের টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিকই জানতো দলের খেলোয়াড়দের সামর্থ্য সম্বন্ধে। যার ফলে শেষ পর্যন্ত বয়স্ক খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সেই শিরোপা জিতে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস।
২. অবসরে যাওয়া সবসময়ই কষ্টের
২০১৮ সাল অসংখ্য ক্রিকেট ভক্তের হৃদয় ভেঙ্গেছে। কারণ এবছর এখন জনপ্রিয় ক্রিকেটারই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সের অবসর ঘোষণা মেনে নেওয়াটা ক্রিকেট ভক্তদের জন্য কঠিন ছিল অনেক। এবছর জনপ্রিয় ক্রিকেটারদের অবসর নেওয়ার তালিকায় আরও রয়েছেন মরনে মরকেল, রঙ্গনা হেরাথ, ডোয়াইন ব্রাভো, অ্যালিস্টার কুক, এবং গৌতম গম্ভীরের মত খেলোয়াড়রাও।
৩. টেস্ট ক্রিকেট আবারও জীবন্ত হতে শুরু করেছে
২০১৮ সাল টেস্ট ক্রিকেটের জন্য স্মরণীয় একটি বছর। এ বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্য স্বীকৃতি পেয়েছে দুইটি নতুন দল – আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। এছাড়াও টেস্ট ক্রিকেটের অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে এই বছর। আইসিসি প্রথমবারের মত চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু করার।
টেস্ট ক্রিকেটে সাধারণত স্বাগতিক দেশগুলোই বেশি ভালো করে থাকে। তবে এই বছর এর ব্যত্যয় ঘটেছে। এশিয়ার মাটিতে পাকিস্তানকে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকার মাটিতে স্বাগতিকদের পরাস্ত করেছে ইংল্যান্ড, এখন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া।
৪. বোলিংয়ে ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে
বোলাররা ২০১৮ সালে অনেক ভালো পারফরমেন্স করেছে। ২০১৮ সালে উন্নতি হয়েছে বোলিংয়ে। যার ফলে ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান বোলারদের লড়াইটাও বেশ জমজমাট হচ্ছে।
৫. কোনো খেলোয়াড়ই খেলার চেয়ে বড় নয়
২০১৮ সালে ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথের মত গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে খেলোয়াড় খেলা চেয়ে বড় নয়।