দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ছয় উইকেটে হারার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের দেখা পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই জয়টির জন্য অপেক্ষা করছিল অস্ট্রেলিয়া বেশ আগে থেকেই। কেননা টানা ৭টি ওয়ানডে ম্যাচ হেরে মনোবলে কিছুটা চির ধরেছিল তাঁদের।
অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২৩২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৮ রানে কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। চাপ সামাল দিতে হেন্ড্রিক্স এর সাথে উইকেটে আসেন বর্তমানে প্রোটিয়াদের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান অ্যাইডেন মারক্রাম। তবে থিতু হতে পারেননি মারক্রাম, দশ ওভারের মাথায় ব্যক্তিগত ১৯ রানে আউট হলে টপ অর্ডারের অন্য ব্যাটসম্যানরা যোগ দেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। দলীয় ৬৮ রানে চার উইকেট পরে গেলে ব্যাকফুটে চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে মিডল অর্ডারে ব্যাট করা ডেভিড মিলার এবং ফাফ ডু প্লেসিসের মাটি কামড়ানো ইনিংসের উপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানে থামে প্রোটিয়াদের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন মিলার ও প্লেসিসের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বল হাতে মার্কাস স্টয়নিস তিনটি, মিচেল স্টার্ক, হ্যাজেলউড দুইটি করে এবং প্যাট কামিন্স নেন একটি উইকেট।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালে অজিদের পক্ষে ব্যাট হাতে ইনিংস উদ্বোধন করেন অ্যারোন ফিঞ্চ এবং ট্র্যাভিস হেড। শুরুটা মোটেও সুবিধাজনক করতে পারেননি এই দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় মাত্র বারো রানে লুঙ্গি এনডিগির বলে এলবিডব্লিউ এর ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান হেড। তিন নম্বরে ব্যাট করতে আশা শন মার্শকে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন ফিঞ্চ।
মার্শও যখন ২৬ বলের বিনিময়ে ২২ রান করে মাঠ ছাড়েন তখন ক্রিস লিনকে নিয়ে ছোট জুটি গড়েন ওপেনার ফিঞ্চ। অন্যদিকে রাবাদার বোলিং তোপে পরে ব্যক্তিগত ১০ রানের গণ্ডি পেরোতে পারেননি ৫ জন অজি ব্যাটসম্যান। উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারির ৪৭ ক্রিস লিনের ৪৪ এবং শন মার্শ ও অ্যাডাম জাম্পার সমান ২২ রানের ইনিংসের মাধ্যমে ২৩২ রানের মাঝারি টার্গেট ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে রাবাদা ৪টি, প্রেটোরিয়াস ৩টি, স্টেইন ২টি এবং লুঙ্গি এনগিডি ১টি উইকেট পান।