বরোদার দুই রত্ন। দ্য পাঠান পাওয়ার। যেদিন তাঁদের দিন থাকে, প্রতিপক্ষকে কোনও ভাবেই দাঁড়াতে দেন না। ভারতের হয়ে কম ম্যাচ হলেও, ইউসুফ পাঠানের পেশি প্রদর্শন দেখেছেন সকলেই। আর আইপিএলে তো তিনি এক বেতাজ বাদশা। এবার শুধু ইউসুফই নন, বাইশ গজে কার্যত দেখা গেল ইরফান ইউসুফ দুই ভাইয়ের দাদাগিরি।
শনিবার বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচ ছিল আসাম ও বরোদার মধ্যে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১১ রানে দু’উইকেট হারিয়ে বেশ সমস্যায় পড়ে বরোদা। তৃ্তীয় উইকেটে ক্রুনাল পাণ্ডিয়া ও দীপক হুডার ৬০ রানের যোগদান কিছুটা হলেও স্বস্তি আনে বরোদা শিবিরে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি জবাব দিয়ে সকলের হৃদয় জিতে নিলেন ইরফান পাঠান
কিন্তু এরপর যে মাঠে মরুঝড় আসতে চলেছে তা হয়তো কোনওভাবেই আন্দাজ করতে পারেনি আসাম। ইরফান ও ইউসুফের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বরোদার রান পৌচ্ছয় ২৩৪। পাঠান ভাতৃদ্বয় ৯১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বরোদাকে এই মজবুত জায়গায় নিয়ে আসেন। ৪৮ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থেকে ইউসুফ ৭৯ বলে ৭১ রান করেন। ইরফানও পিছিয়ে ছিলেন না দাদার থেকে। তিনি ৫০ রান করেন। পাঠান ভাইদের যোগ্য সঙ্গত দেয় ক্রুনাল পাণ্ড্য। তাঁর ব্যক্তিগত যোগদান ৭২।
কোহলির সঙ্গে কেরিয়ার শুরু করেও হারিয়ে গেলেন যে পাঁচ ক্রিকেটার
কেকেআরে ইউসুফের জায়গা হলেও, এবারের আপিএলে জায়গা পাননি ইরফান। তাঁর এই অর্দ্ধশতরান অবশ্যই ফ্রাঞ্চাইসিগুলির উপেক্ষার এক যোগ্য জবাব।
এদিকে ২৩৩ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৪১ রানেই শেষ হয়ে যায় আসামের ইনিংস।