করাচি: বল হাতে ২২ গজে ঝড় তুলতে শোয়েব অাখতারের কোন জুড়ি ছিল না। তার বলের আঘাতে মাঠে কাতরাতে থাকা ব্যাটসম্যানদের তালিকাটাও বেশ লম্বা। শুধু তাই নয়, তার বলের আঘাতে আহত হয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বিশ্বের অনেক নামীদামী ব্যাটসম্যান। তবে এগুলি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা হলেও একজনকে আঘাত করার জন্য নাকি মুখিয়ে থাকতেন প্রাক্তন এই পাকিস্তানি ‘স্পিড স্টার’।
প্রাক্তন পাক তারকা শোয়েব বল দিয়ে অাঘাত করতে চাইতেন কোন ব্যাটসম্যানকে? তিনি হলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান ম্যাথু হেডেন। প্রাক্তন এই অজি ওপেনারকে আঘাত করতে নাকি ‘উপভোগ’ করতেন শোয়েব। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট টুইটারে এমনটাই জানা দিয়েছেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস নামে খ্যাত শোয়েব।
টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ভক্তদের উদ্দেশে শোয়েব লেখেন, ‘বল করার সময় মোট ১৯ জন ক্রিকেটার আমার বলে আহত হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ব্যাটসম্যানদের আঘাত করাটা কখনও আমি উপভোগ করতাম না। তবে একজন ব্যতিক্রম। একজন ক্রিকেটারকে খুব করে আঘাত করতে চাইতাম। বলুন তো সে কে?’ ভক্তদের কিছুক্ষণ অপেক্ষায় রেখে প্রশ্নের উত্তরটা অবশ্য নিজেই দিয়েছেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। তিনি ফের লেখেন, ‘সেই নামটা হল ম্যাথু হেডেন। যাকে আমি দিন-রাত, প্রত্যেকেটা ম্যাচ, প্র্যাকটিস ম্যাচ, সব সময় আঘাত করতে চাইতাম। এখন অবশ্য সে আমার খুব কাছের বন্ধু।’
হেডেনকে এখন প্রিয় বন্ধুদের একজন মানলেও, মাঠে বাঁ-হাতি এই অজি ব্যাটসম্যানকে বেশ জ্বালিয়েছেন শোয়েব আখতার। ১৯৯৯-২০০০ মরশুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দু’দলের মধ্যেকার একটি ট্যুর ম্যাচে প্রাক্তন এই দুই ক্রিকেটারের দ্বৈরথ দেখা গিয়েছিল। কুইন্সল্যান্ডের হয়ে ১২৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন হেডেন। ১২৮ রানের এই ইনিংস খেলার পথে শোয়েবের বলে একটি ছয় হাঁকিয়েছিলেন তিনি।
সেটা মোটেই পছন্দ হয়নি শোয়েব আখতারের। এরপর একের পর এক বাউন্সারে হেডেনকে কাবু করার চেষ্টা করেন। দু’বার তো সরাসরি হেইডেনের গায়ে বল মেরেছেন। শেষ পর্যন্ত হেডেনকে নিজের শিকারে পরিণত করেছিলেন শোয়েব। তবে সেটা বাউন্সার নয়, স্লোয়ার দিয়ে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি জানিয়েছিলেন, বোলারদের মতো সবথেকে খেলা কঠিন ছিল শোয়েব অাখতারকে। নিজের কেরিয়ারে মোট ১০বার শোয়েবের মুখোমুখি হয়েছিলেন ধোনি। তাতেই তিনি বুঝে যান, পাক স্পিড স্টারকে খেলা মোটেও সহজ কথা নয়। শোয়েবের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘শোয়েব খুব জোরে বল করতো। ইয়র্কর দিতে জানতো, বাউন্সার দিতে জানতো। তবে কখনই বিমার দিত না। সত্যি বলতে, শোয়েব কী করতে চলেছে সেটা অাগে থেকে ধারণা করা যেত না। তাই ওর সঙ্গে লড়াইটা বেশ মজার ছিল।’