বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ তথা নির্ণায়ক টেস্টে বিরাট কোহলি চোটের কারণে বাদ পড়েন। এদিকে ধরমশালার ওই টেস্টে যে দল জিতবে সেই এই ট্রফির অধিকারি হবে। এমন একটা পরিস্থিতিতে কোহলির না থাকায় বিরাট সমস্যায় পড়েছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। শেষে অজিঙ্ক রাহানেকে অধিনায়ক করা হয়। কিন্তু প্রথমবার টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমে কাজটা সহজ ছিলনা রাহানের জন্য। তবুও ৮ উইকেটের অসাধারণ জয় ছিনিয়ে নিয়ে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি দখল করেছে ভারত। কিন্তু কীভাবে করলেন রাহানে এই অসাধ্য সাধন! টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার বেশকিছু দিন কেটে যাওয়ার পর সেই তথ্যই সামনে আনলেন তিনি।
ভারতীয় টেস্ট দলের এই মুম্বইকর আরও এক বিখ্যাত মুম্বইকরের শুভেচ্ছা বার্তায় নিজেকে উজ্জিবীত করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার মত দলের সঙ্গে লড়াইয়ে সেনাপতি হওয়ার আত্মবিশ্বাসও জুগিয়ে ছিল সেই দ্বৈব বাণী। ধরমশালায় টেস্ট খেলতে নামার আগে রাহানেকে ফোন করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকর। শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি রাহানেকে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে নেতৃ্ত্ব দিতে পরামর্শ দেন। আর সেই টোটকায় বাজিমাৎ করেন রাহানে। রাহানে বলেন, “টেস্টে অধিনায়ক হওয়াটা আমার জীবনের এক গৌরবময় সময়। তবে বিরাট কোহলির চোটের কারণে আমাদের সকলের মনটা খারাপ ছিল। কোহলি প্রতিটা সময় আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন। তবে ধরমশালায় খেলতে নামার আগে একটি ফোন আমার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তোলে। ম্যাচের আগের দিন শচীন তেন্ডুলকর ফোন করে বলেন নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে নেতৃত্ব দিতে। এই পরামর্শই অনেকটা কাজে লেগে যায় এই ম্যাচে।”
অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি ও অজিঙ্ক রাহানে বিপরীত মেরুর মানুষ। বিরাট মাঠে উত্তেজিত, সবসময় গ্যালারিকে মাতিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। কিন্তু রাহানে ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ পরিচালন করতেই পছন্দ করেন। কাজেই বিরাটের অধীনে এতদিন খেলে আসা ক্রিকেটারগুলিই কীভাবে রাহানের নেতৃত্বে আত্মবিশ্বাস পাবে এই নিয়ে সন্দেহ ছিল। কিন্তু ম্যাচ জিতে সেই সব জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে মুম্বইয়ের এই ব্যাটসম্যান। তার একটা বড় কারণ অবশ্য শচীনের ওই ফোন।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শচীনের থেকে কোহলিকেই এগিয়ে রাখলেন মহারাজ