২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের জন্য হাসান আলীকে দায়ী করছেন পাকিস্তানি ভক্তরা। ক্যাপ্টেন বাবর আজম আরও বলেন, ওই ক্যাচটা ধরা পড়লে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো। ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ ড্রপ করায় হাসান আলীর পরিবারকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করা হচ্ছে। চারদিক থেকে সমালোচনার মুখে ভারতের অফ স্পিনার হরভজন সিংয়ের সমর্থন পেয়েছেন পাকিস্তানের এই ফাস্ট বোলার। হাসান আলীর পরিবারকে টার্গেট করায় ভাজ্জি ক্ষুব্ধ এবং বলেছেন যে এই ধরনের ক্যাচ চাপে ভরা ম্যাচে বাদ দেওয়া হয়।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আলাপকালে হরভজন বলেন, “প্রতিটি ক্যাচই কঠিন। চাপের ম্যাচে, অনেক ক্যাচ মিস হয় এবং কিছু দুর্দান্ত ক্যাচও ধরা পড়ে না। আমার বক্তব্য হল হাসান আলী কোন দেশের নাগরিক তা ভুলে যাওয়া উচিত। সে একজন খেলোয়াড় এবং তার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। পরাজয়ের পর এসব নিয়ে তার পরিবারকে টার্গেট করাও অন্যায়। তিনিও একজন মানুষ এবং ভুল শুধু মানুষই করে। একজন খেলোয়াড়কে টার্গেট করা ভুল এবং আরও অনেক ভুল হয়েছে যার কারণে পাকিস্তান ম্যাচ হেরেছে।”
আসলে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে হাসান আলীর হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন ম্যাথু ওয়েড। সে সময় ক্যাঙ্গারু দলের জয়ের জন্য ১০ বলে ২০ রান দরকার ছিল। হাসান আলীর দেওয়া জীবন উপহারের পুরো সদ্ব্যবহার করে শাহীন শাহ আফ্রিদির পরের তিন বলে তিনটি ছক্কা মেরে অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে টিকিট এনে দেন ওয়েড। ক্যাচ না ধরার পর হাসান আলীও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।