দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল বর্তমান সময় একটা ভীষণই বড়ো খারাপ সময়ের বা বলা যেতে পারে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার দলের হয়ে গত কিছু বছর অর্থাৎ প্রায় ২ বছরে বেশকিছু তারকা খেলোয়াড় অবসর নিয়েছেন, যারপর এই দলকে সম্পূর্ণভাবে নতুন আর সংঘর্ষ করতে দেখা যাচ্ছে। এই সংঘর্ষের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে সেই বিষয়টি নজরে পড়ছে না যা একদা এই দলে ছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকা গত কিছু মাসে হারিয়েছে বেশকিছু বড়ো খেলোয়াড়
বিশ্ব ক্রিকেটে সবসময় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকা দলের হয়ে সামনের রাস্তা সহজ মনে করা হচ্ছে না। কারণ এই বছর আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ খেলা হওয়ার কথা রয়েছে কিন্তু দলের পরিস্থিতি দেখে তাদের ফেবারিট মনে করা হচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা মর্ণি মর্কেল, এবি ডেভিলিয়র্স, জেপি ডুমিনি, ইমরান তাহির আর হাসিম আমলাকে হারিয়েছে অর্থাৎ সমস্ত বড়ো খেলোয়াড়রা অবসর নিয়ে ফেলেছেন। এই অবস্থায় এটা দলের কোথাও না কোথাও প্রভাব ফেলেছে।
এবি ডেভিলিয়র্স আবারো করতে চান প্রত্যাবর্তন
যদি কথা বলা হয় যে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব কোন খেলোয়াড়ের অবসর নেওয়ায় পড়েছে তো তিনি হলেন এবি ডেভিলিয়র্স। ক্রিকেট জগতের অদ্ভুত ব্যাটসম্যান এবি ডেভিলিয়র্স একজন দুর্দান্ত ক্রিকেটার আর তিনি ২০১৮য় আইপিএলের পর অবসর নিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। এবি ডেভিলিয়র্সের যাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার দল যথেষ্ট কমজুরি হয়েছে কিন্তু সম্প্রতি বিগব্যাশ চলাকালীন ডেভিলিয়র্স দলে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি ফিরে আসার কথা জানিয়েছেন। তো অন্যদিকে দলের কোচ হিসেবে যুক্ত মার্ক বাউচারও পজিটিভ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
দলে ফিরে আসা নিয়ে ডেভিলিয়র্স বললেন, অপেক্ষা করুন আর দেখুন কী হয়
এবি ডেভিলিয়র্স এখন আবারো টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য দলে ফিরতে চান। কিন্তু এটা তো সময়ই বলবে যে তার প্রত্যাবর্তন হয় কী না, কিন্তু নিজের প্রত্যাবর্তন নিয়ে এবি ডেভিলিয়র্স নিরবতা ভেঙে বলেছেন যে অপেক্ষা করুন আর দেখুন কী হয়। এবি বলেছেন,
“অপেক্ষা করুন আর দেখুন কী হয়। আমার মনোযোগ এই সময় তো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের দিকে রয়েছে আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে আমাদের পুরো ক্ষমতার অনুভব করাতে সাহায্য করছে। তারপর আমরা বসব আর বাকি বছরের দিকে নজর দেব আর দেখব যে কী সম্ভব হয়”।