আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে সেই বহু প্রতীক্ষিত অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যেকার ক্রিকেটীয় সিরিজ। তিনটি ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে এই লড়াই। গত সফরে এসে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের ঘরের মাটিতে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারতীয় দল। এবার বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে আসবে অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বাধীন শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া দল।
গতবারের হারকে ভুলে বদলার লড়াইয়ে নামতে চাইবে অস্ট্রেলিয়া, অন্যদিকে সিরিজ জিতে ভালো শুরু করার লক্ষ্যে থাকবে ভারতীয় দল। আইপিএল এ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে একসাথে খেললেও, এবার আন্তর্জাতিক ময়দানে দুই দলের অধিনায়ক হিসেবে সম্মুখ সমরে নামবেন বিরাট কোহলি এবং অ্যারন ফিঞ্চ। কিন্তু তার আগে, বিরাট কোহলিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার সীমিত ওভারের দলের অধিনায়ক।
ওয়ানডে সিরিজে নামার আগে বিরাট কোহলিকে সর্বকালের সেরা একদিনের ফর্ম্যাটের খেলোয়াড়ের বড় আখ্যা দিয়ে বসলেন অ্যারন ফিঞ্চ। তিনি মনে করেন, বিরাটের মধ্যে ত্রুটি খুবই কম রয়েছে এবং তার রেকর্ডই তার পরিচয় দেয়। এই নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে অ্যারন ফিঞ্চ বলেছেন, “যদি আপনি বিরাট কোহলির রেকর্ড দেখেন তাহলে ওনার মত রেকর্ড আর কারোর নেই। সত্যিই অসাধারণ। আমার মনে হয় আমাদের ভাবা উচিত যে আমাদের বিরাটকে আউট করতে হবে। যদি আপনি সেখান থেকে সরে গিয়ে ভাবেন বাকি খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে হবে তাহলে তা বড় ভুল হবে। বিরাটের অস্ত্রে খুব বেশি খুঁত নেই। উনিই সম্ভবত ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়, তাই সেটিকে মাথায় রেখে নিজেদের পরিকল্পনার সাথে এগিয়ে চলতে হবে।”
পাশাপাশি সীমিত ওভারের সিরিজগুলিতে অলরাউন্ডারদের নিয়ে বিশেষ ভাবনায় রয়েছে অ্যারন ফিঞ্চ। আইপিএল এ বেশ ভালো ফর্মে ছিলেন মার্কাস স্টোইনিস। গত কয়েকটি আন্তর্জাতিক সিরিজে বেশ ভালো ফর্মে ছিলেন মিচেল মার্শ। এছাড়া আইপিএল এ ব্যর্থ হলেও অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে কতটা বিধ্বংসী হতে পারেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। শক্তিশালী ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে অলরাউন্ডারদের পারফর্মেন্স নিয়ে ইতিবাচক রয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ।
এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ সেই সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “টি২০ ক্রিকেটে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দেখিয়েছেন যে দিনে দিনে তার বোলিং আরও উন্নত হচ্ছে। আমার মনে হয় মার্কাস স্টোইনিস গত কয়েক বছরে ডেথ ওভারে বল করে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এর ফলে আমাদের দলে অনেকটা ভারসাম্য চলে আসে। গত ইংল্যান্ড সিরিজে আমাদের দলে মিচেল মার্শকে নিয়ে মোট তিনজন অলরাউন্ডার ছিল, আর সেখান থেকে ১০ ওভার সহজেই বের করে নেওয়া যায়, এমনটাই মনে হয় আমার। শুধু অলরাউন্ডার বেছে নিলেই হয় না, দেখতে হয় যে তারা বোলিং বিভাগে কতটা প্রভাব ফেলছে।”