ক্রিকেটকে ভদ্রলোকের খেলা বলা হয়। সেই ভদ্রলোকেদের মধ্যে কিছু খেলোয়াড় আছেন বা ছিলেন যারা দলের জন্য হয়ে খেলেননি। তারা খেলেন নিজেদের ব্যাক্তিগত রেকর্ড গড়ার জন্য। টিমের স্বার্থ গোল্লায় গেলেও নিজেদের সেঞ্চুরির রেকর্ড তাদের করতেই হবে। বর্তমান বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। বিশেষ করে উপমহাদেশে এই খেলার জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। তেমনই কিছু স্বার্থপর ক্রিকেটার নিয়ে এই প্রতিবেদন।চলুন দেখে নেওয়া যাক কারা আছেন সেই তালিকায়।
জিওফ্রে বয়কট
স্বার্থপর ক্রিকেটার হিসেবে বেশ ‘নামডাক’ ছিল জিওফ্রে বয়কটের। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের কিংবদন্তি মানা হয় বয়কটকে। কিন্তু মাঝে মধ্যে তিনি এত স্লো ব্যাটিং করতেন যে তাঁর দলের ক্রিকেটাররাই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতেন। সেঞ্চুরি করার মুখে তিনি কখনই বড় শট কেলার ঝুঁকি নিতে না। এমন হয়েছে, তাঁর স্লো ব্যাটিংয়ের জন্য জেতা ম্যাচ ড্র করতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। সেই জন্যই একটি ম্যাচে ২৬৪ রান করা সত্ত্বেও পরের টেস্টে বাদ পড়েন তিনি।
শাহিদ আফ্রিদি
ক্রিকেটার হিসেবে শাহিদ আফ্রিদির ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন জায়গা নেই। পৃথিবীর অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ধরা এই পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে। তবে টিমমেটদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর জন্য তিনি বিখ্যাত। ইগো সমস্যাও প্রচুর। দলের অন্যান্য ক্রিকেটাররাও তাঁকে স্বার্থপর বলেই মনে করেন।
রিচার্ড হ্যাডলি
নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটারের তকমা দেওয়া হয় রিচার্ড হ্যাডলিকে। একটা সময় তিনি ছিলেন টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। তবে টিমমেটদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুব একটা ভাল ছিল না। তিনি নিজের ক্যারিশমা জাহির করে সতীর্থদের ছোট করার চেষ্টা করতেন। পুরস্কারের অর্থ কখনই তিনি সতীর্থদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন না, বরং পুরো অর্থটাই নিজের কাছে রেখে দিতেন।
শিবনারায়ণ চন্দ্রপল
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যটসম্যান এই চন্দ্রপল। দেশের হয়ে রান করেছেন প্রচুর। তবে একটি অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে। শোনা যায়, ইনিংসের শেষ দিকে টেলএন্ডারদের তিনি বিপক্ষের বাঘা বাঘা বোলারদের সামনে ফেলে দিতেন। আর নিজে থাকতেন উল্টোদিকে। সতীর্থদের অভিযোগ, নিজে নট আউট থাকতে এই কাজটি করতেন তিনি।
সুনীল গাভাস্কার
স্বার্থপর ক্রিকেটারের তালিকায় নাম রয়েছেন ভারত কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরের। নিজের রানের সংখ্যা বাড়াতে তিনি মাঝে মাঝেই ইচ্ছে করে স্লো ব্যাটিং করতেন। একটি বিশ্বকাপে ভারত বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচে ৬০ ওভারে ৩৩৪ রান করে ইংরেজরা। জবাবে ভারতের ব্যাট করার সময় গাভাসকর ১৭৬ বলে মাত্র ৩৬ রান করেন। এরপর গাভাসকর এবং তাঁর ইনিংসের সমালোনা করেন দলের ম্যানেজার জিএস রামচাঁদ।