একজন ক্রিকেটার কঠোর অনুশীলন এবং অসীম ধৈর্যের মধ্যে দিয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে চেষ্টা করে যাতে করে সে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের সেরা পারফর্মেন্স করে দেখাতে পারেন। কিন্তু ক্রিকেট ইতিহাসে আমরা বেশ কিছু ক্রিকেটারদের দেখেছি যারা চোটের কারণে এবং তাদের খারাপ পারফর্মেন্সের কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজেদের ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ করে ফেলেছেন। বর্তমান ক্রিকেট ইতিহাসে ৩টি ফরম্যাটে খেলা হয়ে থাকে যার মধ্যে টেস্ট ফরম্যাট হলো সব থেকে বেশি দীর্ঘ্য যেখানে একজন ব্যাটসম্যানকে প্রতিনিয়ত রান করার পাশাপাশি ক্রিজে ঠিকে থাকার মতো পরীক্ষা দিয়ে চলতে হয় আবার একদিবসীয় ফরম্যাট হলো এমন একটি ফরম্যাট যেখানে ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি একজন বোলারকেও তাড়াতাড়ি উইকেট নেবার প্রচেষ্টা করতে হয় যাতে করে বিপক্ষ দল বেশি রান তুলতে সক্ষম না হয়। এছাড়াও সব থেকে ছোট এবং রোমাঞ্চিত ফরম্যাট হলো t20 ফরম্যাট যেখানে একজন ব্যাটসম্যানকে ক্রিজে থিতু হবার আগেই রান বানানোর চেষ্টা করতে হয়।
বর্তমানে একদিবসীয় ফরম্যাটে শতরান এবং অর্ধ শতরান করা অনেকটাই সহজ হয়ে উঠেছে কারণ আগের থেকে মাঠের সাইজ এখন বেশ কিছুটা ছোট হয়ে গিয়েছে এবং ব্যাটসম্যানদের সুবিধার জন্য পাওয়ার প্লের মতো সুবিধা করা হয়েছে যাতে করে তারা খুব তাড়াতাড়ি বেশ কিছুটা রান করে নিতে সক্ষম হয়। ক্রিকেট ইতিহাসে আমরা একমন ক্রিকেটারদের দেখেছি যারা নিজেদের ক্রিকেট কেরিয়ারে অনেকগুলি অর্ধ শতরান এবং শতরান করে রেকর্ড বইতে নিজেদের নাম দখল করে রেখেছেন। কিন্তু এখানে এমন ৩জন মহান ব্যাটসম্যানকে নিয়ে আলোচনা করবো যারা নিজেদের ক্রিকেট কেরিয়ারে একদিবসীয় ফরম্যাটে একটিও শতরান করতে সক্ষম হননি।
মিসবা উল হক
পূর্ব পাকিস্তানী ক্রিকেটার তথা অধিনায়ক মিসবা উল হক তার অলরাউন্ড পারফর্মেন্সের জন্য বিখ্যাত। ডানহাতি এই পাওয়ার হিটার ব্যাটসম্যান অতীতে অনেকবার এক হাতে পাকিস্তান দলকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছে। মিসবা তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে ১৬২টি একদিবসীয় ম্যাচ খেলেছিলেন এবং ৬৯৪৭ রান করেছিলেন। তিনি সর্বাধিক রান ৯৬ করলেও কোনোদিন একটিও শতরান করতে পারেননি।