শেষ হয়েছে এই বছরের আইপিএল (IPL 2023)। আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম সফল দল চেন্নাই সুপার কিংস (CSK) গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সকে (GT) শেষ বলের হাড্ডাহাডি লড়াইয়ে পরাজিত করে ৫ বারের জন্য আইপিএল ট্রফি নিজেদের ঘরে তুলেছে। সময় যত এগোচ্ছে ততই এই প্রতিযোগিতার চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে এটা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। প্রতিবছর এই আইপিএল এর মঞ্চে আমরা যেমন একাধিক তরুণ ক্রিকেটারদের উঠে আস্তে দেখে আনন্দিত হই ঠিক তেমনি আইপিএল এর মঞ্চ থেকে সুপারস্টার ক্রিকেটারদের অবসর গ্রহন ক্রিকেট প্রেমীদের যথেষ্ট ব্যথিত করে তোলে। ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় বাকি দেশ গুলিতেও আইপিএল এর উন্মাদনা ক্রমশই বেড়ে চলেছে সে কথা বলা যেতে পারে কারণ বিশ্বের ছোট ছোট দেশগুলি থেকে ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ক্রিকেট প্রেমীরাও এক বছর অপেক্ষা করে থাকে অন্যতম এই ধনী টুর্নামেন্টের জন্য। এছাড়াও এটাও মনে করা যাচ্ছে সুদূর ভবিষ্যতে আইপিএল পরিচালন কমিটি আরো বেশি দল বাড়াতে পারে যাতে করে আরো বেশি করে তরুণ ক্রিকেটাররা এই প্রতিযোগিতাতে পারফর্ম করার সুযোগ পান।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (MI) আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম সফল একটি দল যারা প্রথমবার ৫টি আইপিএল ট্রফি জয়লাভ করেছে। এছাড়াও সফলতম এই দলকে আইপিএল তরুণ ক্রিকেটার তৈরি করার ফ্যাক্টরি হিসাবে মনে করা হয়ে থাকে যারা প্রতিবছর সুপারস্টার ক্রিকেটার তৈরি করে ক্রিকেট সংসারে প্রদর্শিত করে থাকে। অন্যতম শক্তিশালী এই দল এই বছর আইপিএল এর মঞ্চে শুরুটা ভালো না করতে পারলেও পরবর্তীতে তারা একাধিক অসাধারণ ম্যাচ উইনিং পারফর্মেন্স করে প্লে অফের মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিলো। কিন্তু কোয়ালিফায়ারে দ্বিতীয় ম্যাচে তারা গুজরাট টাইটানসের কাছে হেরে ফাইনালের মঞ্চে আর পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি। এই বছরেও মুম্বাই একাধিক তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দিয়েছে যারা নিজেদের প্রতিভা প্রমান করে দেখিয়েছেন কিন্তু আমরা এখানে এমন ৩জন ক্রিকেটারকে নিয়ে আলোচনা করবো যাদের খারাপ পারফর্মেন্সের কারণে MI পরবর্তী সিসনে তাদের ছেড়ে দিতে পারে বলে মনে করা যাচ্ছে।
ক্রিস জর্ডন:
তালিকায় সর্ব প্রথম নামটি হলো ক্রিস জর্ডনের (Chris Jordan)। ডানহাতি এই ইংলিশ অলরাউন্ডার তার ডানহাতি ফাস্ট বোলিং এবং ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের একজন দুর্ধষ্য ফিল্ডার হিসাবে নিজের যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন। তারকা এই ক্রিকেটার আইপিএল এর মঞ্চে একাধিক দলের হয়ে পারফর্মেন্স করেছেন কিন্তু এই বছর নিলামে তিনি অবিক্রিত থাকলেও আইপিএল শুরু হবার পরেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (MI) তাকে নিজেদের দলে পারফর্ম করার সুযোগ দেয়। এই বছর তিনি দলের হয়ে ৬টি চামচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু বল হাথে মাত্র ৩টি উইকেট পেয়েছেন যেখানে ইকোনোমি ছিল ১০.৭৭ এবং ব্যাট হাথে মাত্র ৬রান করে সক্ষম হয়েছিলেন। তাই মনে করা যাচ্ছে আগামী নিলামে MI তাকে ছেড়ে দিতে চলেছে।
বিষ্ণু বিনোদ:
এই তালিকায় দ্বিতীয় নামটি হলো তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটার বিষ্ণু বিনোদের (Vishno Vinod)। ২৯ বছর বয়সি ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঘরোয়া ক্রিকেটে কেরালার হয়ে পারফর্ম করে থাকেন। আইপিএল এর মঞ্চে একাধিক দলের হয়ে পারফর্ম করলেও এই বছর তাকে ২০লক্ষ্য টাকার বিনিময়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাকে নিলামের মঞ্চ থেকে নিজেদের ঘরে তুলেছিল। এই বছর তিনি দলের হয়ে মাত্র ৩টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন কিন্তু সেখানেও তিনি তার প্রতিভার সঠিক প্রমান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই বছর তিনি ৩টি ম্যাচ খেলে মাত্র ৩৭রান করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই মনে করা যাচ্ছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তার এই পারফর্মেন্সের পর পরবর্তী নিলামে তাকে ছেড়ে দিতে পারে।
কুমার কার্তিকেয়:
এই তালিকায় সর্বশেষ নামটি হলো আরো এক প্রতিভাবান তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটার কুমার কার্তিকেয়ের (Kumar Kartikeya)। বাঁহাতি এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার গতবছর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এর আইপিএল এর মঞ্চে অভিষেক করেছিলেন এবং এই বছরেও MI তাকে নিজেদের দলে ধরে রেখেছিলো। এই বছর আইপিএল এর মঞ্চে তিনি ৮টি ম্যাচ খেলে বল হাথে মাত্র ৫টি উইকেট এবং ব্যাট হাথে মাত্র ৬ রান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাই মনে করা যাচ্ছে পরবর্তী সিসনে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাকে দলে রাখতে নাও পারে।