ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের কাছে অবহেলা বর্তমানে একটি সাধারন ঘটনা। ক্রীড়াবিদদের প্রতি কর্তৃপক্ষের অনৈতিক আচরন আমাদের জন্য জাতীয় লজ্জার কারন হয়ে দাড়িয়েছে, অথচ তারা তাদের উজার করে দেয় আমাদের জন্য সফলতা নিয়ে আসতে। অথচ আমাদের কর্তৃপক্ষ তাদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের কোচিং, তাদের ফিটনেস ঠিক রাখা কিংবা তাদের জন্য পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা না করার কারনে তারা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সফলতা পায় না। কর্তৃপক্ষের হীনতা আমাদের সফলতার পথে বড় বাধা। যাদের দায়িত্ব ক্রীড়ার উন্নয়নের এমন কিছু করা যাতে ক্রীড়াবিদরা দেশের মুখ ইজ্জল করতে পারে এবং এমন কাঠামো তৈরী করা যাতে করে আগামীর ক্রীড়াবিদরা তৈরী হতে পারেন। কিন্তু তারা যা করছে তা তাদের দায়িত্বের বিপরীত। আর এ কারনে মারা গেল ভিসাল কুমার ভার্মা নামে এক কুস্তিগির। ফলে তরুণ সমাজ যাদের ক্রীড়ার প্রতি আগ্রহী হওয়ার কথা ছিল, আবেগ তাড়িত হওয়ার কথা ছিল তারা বরং উল্টো আবেগ হারিয়ে ফেলছেন।
একটি তরুণ প্রতিভার মৃত্যু : ভিসাল কুমার ভার্মা নামের ২৫ বছরের একজন সম্ভবনাময় কুস্তিগির গত বৃহ:বার ঝাড়খন্ড প্রাদেশিক কুস্তি সংস্থার একটি বিল্ডিং এ অনুশীলন করা অবস্থায় তড়িতাহত হয়ে মারা যান। ১৯৭৮ সালে নির্মিত এই ইনডোর স্টেডিয়ামের মেঝে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে তড়িদায়িত হয়ে পড়ে।
এক সম্ভবনায় প্রতিভা : ঝাড় খন্ড প্রাদেশিক কুস্তি সংস্থার সাধারন সম্পাদক ভোলানাথ সিং বলেন, “সর্বশেষ জাতীয় সিনিয়র কুস্তি প্রতিযোগিতায় ভিসাল কুমার ভার্মা চতুর্থ হন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে বলা হয়েছে ভিসাল কুমার ভার্মা তড়িতাহত হয়ে মারা যান। তিনি পানির পাম্প ব্যবহার করে পানির পরিষ্কার করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।” কোতায়লী থানা পুলিশ কর্মকর্তা মন্ডল বলে বিদ্যুৎ তারের দুর্বল ব্যবস্থা ই এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
জেবিভিএনএল জেনারেল ম্যানেজার গানেশ ঝা বলেন, ” আমরা ঘটনা স্থল পরিদর্শনের জন্য আমাদের একজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে পাঠিয়েছি, ঘটনার সাথে জেবিভিএনএল এর বিদ্যুৎ সংযোগের কোন সম্পর্ক নেই। সম্ভবত তাদের অভ্যন্তরীন বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার ত্রুটির জন্য এ ঘটনা ঘটেছে।” ভিসাল কুমার ভার্মা এর এ অকাল এবং মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য ক্রীড়া প্রেমীরা কর্তৃপক্ষকে ই দায়ী করছেন। তাদের মতে কর্তৃপক্ষ সচেতন হলে এমন ঘটনা হত না।