প্রাক্তণ ইংল্যান্ড অধিনায়ক এবং নিজের সময়ের তর্কাতীতভাবে অন্যতম শ্রেষ্ট ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন ক্রিকেটের সমস্ত ফর্ম্যাট থেকে নিজের ব্যাটপ্যাড তুলে রাখার। এই মুহুর্তে পিটারসেন চলতি বিগব্যাশ লিগে মেলবোর্ণ স্টার দলের সদস্য এবং ধারাবাহিকভাবে তিনি রান করে চলেছেন। যদিও তার রায় হল যে বর্তমান পরিস্থিতিতে তার কাউকে নতুন করে কিছু প্রমান করার নেই এবং তার কাছে নতুন করে আর কিছু পাওয়ার মত পরিস্থিতিও নেই। এবং সেই জন্যই এটাই তার বিগব্যাশ লিগে শেষ মরশুম হবে। নিজের টুইটারে পিটারসেন লিখেছেন, “ প্লেয়ার হিসেবে নিশ্চিতভাবে এটাই আমার শেষ বিবিএল। যতক্ষনে বিবিএল এই বছরের শেষের দিকে শুরু হবে, নিজেকে শুধরোতে চেষ্টা করা এবং ভালো কিছু করার জন্য আমি ততক্ষন পর্যন্ত নিজেকে অপেক্ষা করতে দেখত পারব না। তার মানে এটাই শেষ করার সময়। অ্যাডিলেড ওভাল, এসসিজি এবং এমসিজিতে আমার শেষ কিছু ম্যাচ আমি উপভোগ করব। আমার মনে হয় সকলেই জানে যে একদিন সকলের কাজ এবং সময় শেষ হয়ে আসে। তাই আমার জন্য আমার কেরিয়ারের সেই সময় এসে গিয়েছে যেখানে দাঁড়িয়ে আমাকে ভাবতে হবে ‘আমি কি এটা চাই?’ আমি এই মুহুর্তে এটা ডেসপ্যারেটলি চাই, কিন্তু আমার মনে হয় আমি এটা আগামি ১০ মাসে সময়ের মধ্যে পেতে চাইব”।
এই স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান ইংল্যান্ডের হয়ে ২০১৪য় শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন, যতক্ষণ না বোর্ড এবং পিটারসেনের মধ্যে ঝামেলার পরে তাকে দল থেকে বাদ পড়তে হয়। ২০০৫-৬য়ে যখন তিনি প্রথম এ ব্যাপারে মুখ খোলেন, সেই সময় তার সোনার সময় ছিল এবং মাঠে তিনি সবসময় চার্জড আপ থাকতেন। তার প্রথম সিরিজেই মানুষ অনুভব করেছিলেন যে এই স্টাইলিশ ব্যাটসম্যানের ভাগ্য শ্রেষ্ঠত্বের জন্যই লেখা হয়েছে। শীঘ্রই ক্রিকেটের সমস্ত ফর্ম্যাটেই তার কেরিয়ারের সমৃদ্ধি দেখা দেয়। নিজের প্রথম সিরিজেই তিনি কিংবদন্তী শের্ন ওয়ার্নকে নীচে নামিয়ে আনেন এবং বহু বছর বাদে ইংল্যান্ডকে অ্যাসেজ জিততে সাহায্য করার ক্ষেত্রে মহত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিলেন। এই সিরিজ ইংল্যান্ডের জন্য ভীষণই স্পেশাল সিরিজ ছিল যা পিটারসেনের উত্থান হিসেবেও চিহ্নিত হয়ে আছে।