শুধু বিপক্ষ নয়, কোহলিকে ভয় পাচ্ছেন দ্রাবিড়ও! 1

এক কথায় তিনি ছিলেন ভারতের মিস্টার ডিপেন্ডবল। কারও কারও কাছে তিনি দ্য ওয়াল। নিখুঁত টেকনিকে তিনি শেষ করতেন বিপক্ষ বোলারের সব জারিজুরি। অস্ট্রেলিয়ার তীব্র গতির ফাস্ট বোলিংয়ের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ইডেনে হার বাঁচিয়ে এনে দিয়েছিলেন নিশ্চিত জয়। জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের সর্বকালীন সেরাদের সারিতে। এহেন নির্ভিক রাহুল দ্রাবিড় ভয় পাচ্ছেন বর্তমান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। আশ্চর্য হলেও সত্যি। বিরাটকে কেন ভয় পাচ্ছেন প্রাক্তন এই তারকা সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডে যে গুটিকয় ভদ্রলোক বলে বিবেচিত হন সেই তালিকায় রাহুল দ্রাবিড় নিশ্চিতভাবেই প্রথম দিকে আসেন। খেলোয়াড়ি জীবনে তার মুখে কেউ কটু কথা শুনেছেন বলে মনে করতে পারেন না। এহেন দ্রাবিড় সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘ বিরাট মাঝে মাঝে ভীষণ আগ্রাসী হয়ে ওঠে। একটি সিরিজের মাঝে ওর সেই আগ্রাসি মন্তব্য পড়ে ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েছিলাম। অবশ্য আমার মতের সঙ্গে যে মিলতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এভাবে যদি বিরাট প্রতিপক্ষকে খুঁচিয়ে নিজের সেরাটা বের করে আনতে পারে তাতে দোষের কিছু নেই। ক্রিকেটে শেষ পর্যন্ত পারফরমেন্সই শেষ কথা। এটাই হয়ত কোহলির ব্যক্তিত্ব।শুধু বিপক্ষ নয়, কোহলিকে ভয় পাচ্ছেন দ্রাবিড়ও! 2
নিজের সঙ্গে বর্তমান ভারত অধিনায়কের পার্থক্য ঠিক কোথায় দ্রাবিড়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, অনেকেই আমার কাছে জানতে চান আমার সময়ে আমি কেন কোহলির মত আচরণ করিনি! কারণ এভাবে নিজেকে চার্জ করে নিজের সেরাটা বের করে আনা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমি যদি কোহলির মত শরীরে উল্কি এঁকে, এরকম আগ্রাসি মনোভাব দেখাতাম তাদের আমার নিজেস্বতা হারাত, আমি পারফর্ম করতে পারতাম না। দ্রাবিড় আরও বলেন, “ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি সিরিজের আগে খবরের কাগজে বিরাটের মন্তব্য পড়ে শিউরে উঠেছিলাম আমি। পরে অবশ্য আমার মনে হয়েছিল বিরাট হয়ত এভাবেই প্রতিদ্বন্ধিতা তৈরি করতে চায়।শুধু বিপক্ষ নয়, কোহলিকে ভয় পাচ্ছেন দ্রাবিড়ও! 3
বিরাটের এই আগ্রাসি মনোভাব সমর্থন করলেও দ্রাবিড়ের আশঙ্কা অন্য জায়গায়। তার দাবী উঠতি ক্রিকেটাররা যেন বিরাটের এই অগ্রাসী মনোভাব অন্ধের মত অনুকরণ না করে। তাতে লাভের থেকে ক্ষতির সম্ভবনাই বেশি। তবে ভারতীয় দলের কোচের পদ থেকে কুম্বলের অপসারণ মেনে নিতে পারেনি ভারতের সর্বকালের সেরা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। কুম্বলের অপসারনে কোহলির আচরণও তিনি সমর্থন করেন নি। তিনি বলেন, ‘ সবাই জানে কোহলি চায় নি বলেই কোচের পদ থেকে কুম্বলেকে সরে যেতে হয়েছে”, তাঁর মতে পুরো ঘটনাটা মিডিয়ার সামনে চলে আসায় কুম্বলের কাছে গোটা পরিস্থিতিটাই অসম্মানজনক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কুম্বলের মত একজন কিংবদন্তির পক্ষে যা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *