আইপিএলের ৪১ তম ম্যাচ রাজস্থানের ঘরের মাঠ সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলল রাজস্থান রয়্যালস। ১৫ রানে এই ম্যাচ জিতে নিয়ে রাজস্থান পয়েন্ট টেবিলে ষষ্ঠস্থানে উঠে এসে প্লে অফে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখল তারা। এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তোলে রাজস্থান রয়্যালস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৩ রানই করতে পারে পাঞ্জাব। এর আগে এদিন রাজস্থানের হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন অজিঙ্ক রাহানে এবং জোস বাটলার।
প্রথম ওভারে রাহানে আউট হয়ে গেলেও বাটলার এদিন নিজের দুর্দান্ত ফর্ম বজায় রেখে আইপিএলে তার ধারাবাহিক তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। মুজিব উর রহমানের বলে আউট হওয়ার আগে বাটলার ৫৮ বলে ১টি ছয় এবং ৯টি চারের সাহায্যে ৮২ রান করেন। অন্যদিকে পাঞ্জাবের শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি। প্রথম ওভারেই কে গৌতমের হাতে বল তুলে দেন রাজস্থান অধিনায়ক রাহানে। অধিনায়ককে হতাশ করেন নি এই তরুণ স্পিনার। প্রথম ওভারেই ক্রিস গেইলকে তুলে নেন তিনি। অন্যদিকে এই মরশুমে নিজের ধারাবাহিক ফর্ম বজায় রাখেন কেএল রাহুল।
এই ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে উপরের দিকে তুলে এনেছিলেন পাঞ্জাব অধিনায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কিন্তু তাকেও বিনা রানেই ফিরিয়ে দেন গৌতম। করুণ নায়ারও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেন নি ক্রিজে। পাওয়ার প্লের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় পাঞ্জাব। একদিকে রাহুল টিকে থাকার চেষ্টা করলেও অন্যদিক থেকে কোনও সাহায্যই পান নি তিনি। শেষ পর্যন্ত তিনি ৯৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
কিন্তু উল্টোদিক থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় রাজস্থানের রান থেকে মাত্র ১৫ রান দূরেই থেমে যায় পাঞ্জাব ইনিংস। ম্যাচ শেষে পাঞ্জাব অধিনায়ক অশ্বিন জানান, “ আমরা ওভার প্রতি দশ রান বেশি দিয়েছি। শুরুর দিকে আমরা অনেক বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলেছি যার ফলে আমাদের উপর চাপ বেড়ে যায়, পরের দিকে আমাদের ম্যাচের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। এই ম্যাচে গত ম্যাচের মতই খেলা উচিৎ ছিল আমাদের। উইকেট আজ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কঠিন এবং মুশকিল হয়ে পড়েছিল।
(নিজের তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসার প্রসঙ্গে) এটা একটা এক্সপেরিমেন্ট ছিল, গত ম্যাচেও আমরা এটা ট্রাই করার কথা ভেবেছিলাম। আমরা আমাদের ক্ষমতা জানি, এবং সেই হিসেবেই আমরা খেলি। আমি দলের হারে খুব একটা চিন্তিত নই। আর না তো আমার দল কোনও খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। যদি আপনি ১০টা ম্যাচের মধ্যে ৬টিতে জেতেন তাহলে আপনি খুব একটা নীচে নেই”