ঘরের মাঠে যে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে হারানো মোটেও সহজ নয় তা আরও একবার প্রমান করে পর পর দুটি ম্যাচ জিতে নিল তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ বলে মুম্বাইয়ের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে নিল তারা। হায়দ্রাবাদের বোলারদের দাপটে গুটিয়ে যায় মুম্বাইয়ের ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে আফগানিস্থানের তরুণ স্পিনার রশিদ খানের দুর্দান্ত ইকোনমিক্যাল বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেন নি মুম্বাইয়ের নামীদামী ব্যাটসম্যানেরাও। এছাড়াও হায়দ্রাবাদের ব্যাটসম্যান শিখর ধবনও আগের ম্যাচের মতই ছিলেন তুমুল ফর্মে। তার ব্যাটীংয়ের কাছে মুম্বাইয়ের রানকে কখনও কঠিন মনে হয় নি। কিন্তু মুম্বাইয়ের তরুণ স্পিনার ময়ঙ্ক মারকান্ডে এখ সময় এই সহজ টার্গেটকেও কঠিন করে দিয়েছিলেন হায়দ্রাবাদের জন্য। এক সময় বল করতে এসে পরপর চার উইকেট তুলে নিয়ে হায়দ্রাবাদকে প্রায় হারের মুখে এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হায়দ্রাবাটি ব্যাটসম্যানরা মাঠা ঠান্ডা রেখে ম্যাচ বার করে নিয়ে যান।
বিশেষ করে বরোদার তরুণ ক্রিকেটার দীপক হুডা শেষ দিকে ধৈর্য ধরে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে জয় এনে দেন। তবে হায়দ্রাবাদের জয়ের মুখ্য কারিগর ছিলেন রশিদ খান। এই ম্যাচে তা বোলিং গড় টি২০ ক্রিকেটে যে কোনো বোলারের কাছে ঈর্ষণীয়। মাত্র চার ওভার বল করে ১৩ রান দিয়ে এক উইকেট নেন তিনি। ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কারও জোটেতার কপালে। পুরস্কার নিতে এসে সেই পুরস্কার নিজের বন্ধুর অসুস্থ ছেলে উৎসর্গ করে সকলের মন জিতে নেন এই আফগান স্পিনার। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “ (ম্যাচে ১৮টি ডট বল করার প্রসঙ্গে) “উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে ডট বল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটাই পরিকল্পনা ছিল যত বেশি সম্ভব ডট বল করা যায়। ম্যানেজমেন্ট আমাকে বলেছিল মাঠে যাও এবং নিজের খেলাটা উপভোগ করো। ব্যাটসম্যানদের জন্য সঠিক মিশ্রণ ঘটিয়ে এবং গুড লেংথ এরিয়ায় বল করে আমি আমার নিজের সেরাটা দেওয়া চেষ্টা করেছি। প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যানকে বল করার সময় পরিকল্পনা ছিল যে তার দুর্বলতা বিচার করে বল করা। বল করতে গিয়ে আমি লেগ স্পিন এবং গুগলি দুটোইকে করতে ভালোবাসি। (আফগানিস্থান প্রসঙ্গে) ওরা এমনভাবে সেলিব্রেট করছে যেনো আফগানিস্থানই এখানে খেলছে। এটাই আরও বেশি করে মোটিভেশন এনে দেয়। ওখানে ক্রিকেট ছাড়া আর কিছুই নেই যা তাদের খুশি এনে দিতে পারে। আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি, এবং ওদের ভালো পারফর্মেন্স দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমি আমার এই ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কারটা আমার বন্ধুর ছেলেকে উৎসর্গ করছি, যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এই সবকিছুই ওর জন্য ছিল”।