২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয়ী ঐতিহাসিক ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন তিনি। তবে এই মুহুর্তে তিনি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। অর্থাৎ ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। এবার সেই ভারতীয় ক্রিকেটারই পুলিশের নজরে রয়েছেন ক্রিকেট ম্যাচের স্পট ফিক্সি সিন্ডিকেট চালানোর অপরাধে। এই ক্রিকেটার পুলিশের নজরে আসেন ২০১৭র জুলাই মাসে রাজপুতানা প্রিমিয়ার চলার সময়। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ইতিমধ্যেই এই বেটিং চক্রএর পাণ্ডাকে রাজস্থান পুলিশ চিহ্নিত করতে পেরেছে। আর ওই বেটিং সিন্ডিকেট চক্রের পাণ্ডার সঙ্গেই নাকি বিশ্বকাপ জয়ী দলের এক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্র অনুসারে ওই ভারতীয় ক্রিকেটার জাতীয় দলের হয়ে তিন ধরনের ফর্ম্যাটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন।
এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছে সিআইডির (ক্রাইম) অতিরিক ডিজি পঙ্কজ কুমার সিং জানিয়েছেন, “এই মুহুর্তে আমরা ক্রিকেট অফিসিয়াল সহ সমস্ত ক্রিকেটারদের যোগসূত্রের উপর নজর রাখছি। যদি দোষ প্রমানিত হয় তাহলে সেক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নেব”। ওই সূত্র আরও জানিয়েছেন যে দোষী সন্দেহভাজন ক্রিকেটারের সমস্ত কল রেকর্ডই খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। অন্যদিকে প্রাক্তন এই ক্রিকেটারের নাম জড়ানোয় বিস্ফোরণ ঘটে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। তবে সেই ক্রিকেটারের বিষয়ে এখনও কিছুই জানানো হয় নি সিআইডির তরফে।
এমনকী তার নামও সামনে আনা হয় নি তদন্তের স্বার্থে। প্রসঙ্গত বলিউড এবং ক্রিকেট তারকাদের উপস্থিতি যথেষ্ট জাঁকজমকভাবেই শুরু করা হয়েছিল রাজপুতানা প্রিমিয়ার লিগ। ওই লিগ চলাকালীনই গত জুলাই মাসে রাজস্থান পুলিশ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। যাদের মধ্যে ছিলেন ৬ জন ক্রিকেটারও। এছাড়াও ওই ১৪ জনের মধ্যে ছিলেন ওয়াজির আলি এবং বাহারে খান নামে এই সিন্ডিকেটের দুই মাস্টার মাইন্ডও। পুলিশের একটি সূত্রের মতে ওই দুই অপরাধীই ক্রিকেটার এবং অ্যাম্পায়রদের কাছে ম্যাচ গড়পেটা করার প্রস্তাব দিত। ওয়াজির এবং বাহারে বুকিদের সঙ্গে ক্রিকেটার অ্যাম্পায়েরের যোগযোগ করানোর কাজ করত। আপাতত এই নিয়ে উত্তাল ভারতীয় ক্রিকেটের অন্দরমহল। আইপিএলের আগেই এক ভারতীয় ক্রিকেটারের এভাবে গড়পেটায় নাম জড়ানোয় ফের ভারতীয় ক্রিকেটের আকাশে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখা দিয়েছে। সকলেই যথেষ্ট শঙ্কিত হয়ে রয়েছে, সেই সঙ্গে অপেক্ষা করে আছেন ওই ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ্যে আসার জন্য।