রাজনৈতিক বিতর্কের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে তেন্ডুলকর পরিবারের নাম। বিতর্কের মূলকেন্দ্র শচীন তনয়া সারা তেন্ডুলকর। অযাচিতভাবে তাঁর কন্য়াকে নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ায় বেশ চিন্তিত বাবা শচীন। কারণ, শচীন যেমন স্বক্রিয় রাজনীতি থেকে বহুদূরে থাকেন, তেমনই তাঁর ছেলে-মেয়েও এসব থেকে শতহাত দূরে থাকেন।
শচীনের মেয়ের নামে একটি ভুয়ো ট্য়ুইটার অ্য়াকাউন্ট খুলে, তা থেকে বিতর্কিত একটি ট্য়ুইট করা হয়েছে। আর সেই ট্য়ুইট মুম্বইয়ের পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ারের দল জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-কে কেন্দ্র করে করা হয়েছে। এনসিপি তরফে শচীনের কাছে এনিয়ে জবাব চাওয়া হলে শচীন বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। আর তারপরেই শচীন ট্য়ুইটার কর্তৃপক্ষকে বলেন, তাঁর মেয়ে ও ছেলের নামে যে সমস্ত ভুয়ো ট্য়ুইটার অ্য়াকাউন্ট আছে, তা সব যেন অবিলম্বে ডিলিট করে দেওয়া হয়।
শচীন তেন্ডুলকর ভারত কেন বিশ্ব ক্রিকেটের বেশ শ্রদ্ধেয় ব্য়ক্তি। গোটা ক্রিকেট জীবনে একদিনও তাঁকে কোনও বিতর্কে জড়াতে দেখা যায়নি। দেশের রাজনীতিতেও কোনও দিন মাথা ঘামাননি বা কোও দলকে প্রকাশ্য়ে সমর্থন জানাতেও দেখা যায়নি তাঁকে। রাজ্য়সভার সাংসদ হলেও, শচীন তেন্ডুলকর প্রকৃত ভারতরত্ন। তাঁর ওই পদ কেবলমাত্র ক্রীড়াকে দেশে যতটা সম্ভব প্রচার করতেই ব্য়বহার করেছেন। এছাড়া, আর কোনও অনৈতিক কাজে তা ব্য়বহার করতে কোনওদিন দেখা যায়নি তাঁকে।
ঘটনাটি গত রবিবার। শচীন তনয়া সারা তেন্ডুলকরের নামে একটি ট্য়ুইটার অ্য়াকাউন্ট থেকে ট্য়ুইট করা হয়েছে – ”সবাই জানে শরদ পাওয়ারের এনসিপি মহারাষ্ট্রকে লুটেপুটে খেয়েছে। তবে, খুব কম লোক জানে, তারা কেন্দ্রকেও লুটে খাওয়ার চেষ্টা করেছিল।”
এনসিপি বিধায়ক জিতেন্দ্র অওহদের নজরে ট্য়ুইটটি পড়ার পর তিনি বেশ ক্ষুব্ধ শচীনকে ফোন করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই শচীন এরপর দু’টি ট্য়ুইট করেন। সেখানে তিনি সমস্ত ঘটনা পরিষ্কার করে দিয়েছেন সবার সামনে।
শচীনের প্রথম ট্য়ুইট, ”আমার দুই সন্তান – অর্জুন ও সারা, কেউই ট্য়ুইটার ব্য়বহার করে না। আমি ট্য়ুইটার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওদের নামে যে ভুয়ো অ্য়াকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে, তা যেন ডিলিট করা হয়।”
শচীনের দ্বিতীয় ট্য়ুইট, ”এই ধরনের কাজকর্ম বড় রকমের প্রভাব ফেলে, ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করে। আমরা এতে আঘাত পেয়েছি। আমি ট্য়ুইটার কর্তৃপক্ষকে আবেদন করছি, এপ্রসঙ্গে যেন উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।”