২০১৬র ৫ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের কল্যানের প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান প্রবন ধনাওয়াডে , যিনি প্রথম প্রচারের আলোয় আসেন যখন তিনি একটি অফিসিয়ালি পরিচিত ম্যাচে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড করেন। ওই ম্যাচে তিনি অপরাজিত ১০০৯ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি আরও একটি উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেন, ইন্টার কলেজ ম্যাচে। ওই ইন্টার কলেজ ম্যাচে বৃহস্পতিবার (জানুয়ারি ৪) ঝুনঝুনওয়ালা কলেজের প্রতিনিধিত্ব করে গুরু নানক কলেজের বিরুদ্ধে তিনি ২৩৬ রান করেন। খুব কম বয়েসেই নিজের ক্লাস দেখিয়ে ধনাওয়াডে নামের এই টিনএজার ডবল সেঞ্চুরি করে ভীষণই উত্তেজিত এবং তিনি এভাবেই ব্যাট হাতে নিজের ধারাবাহিক পারফর্মেন্স করে যাওয়াকেই পাখির চোখ করেছেন। ওই ম্যাচের পর মুম্বাইয়ের এক দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রনব জানান, “ আমি ভীষণ খুশি। আমি একটা নতুন শুরুয়াত করতে চাই। আমি আমার ভবিষ্যত নিয়ে খুব একটা কিছু ভাবি না। শুধু আমি আমার খেলাটাকে উপভোগ করতে চাই”।
এটা বলা জরুরী যে এই ১৭ বছর বয়েসি ব্যাটসম্যান ধনাওয়াডে একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, যা তাকে ব্যাট হাতে খারাপ পারফর্মেন্সের জন্য খবরের শিরানামেও নিয়ে আসে। এটা উল্লেখনীয় যে প্রনব আরও একটা অসাধারণ ইনিংস খেলেন তার রেকর্ড ১০০৯ রানের ইনিংসের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির আগের সন্ধ্যায়। ওই ইনিংসের ফলেই তিনি ক্রিকেট দুনিয়ায় শিরোনামে উঠে এসে ইন্টারনেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলেন। এইচটি ভান্ডারি কাপ ইন্টার স্কুল প্রতিযোগিতায় শ্রীমতী কেসি গান্ধী স্কুলের হয়ে তিনি তিনি চার অঙ্কের ওই ইনিংস খেলেছিলেন। আশ্চর্যজনকভাবে দীর্ঘ ইনিংস খেলার ন্যাকের জন্য প্রনব তার কলেজকে সাহায্য করেন মুম্বাইয়ের ক্রস ময়দানে ৪৫৯ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করাতে। এত বেশি, বিচিত্র মুভ হিসেবে বলা যেতে পারে, ধীর গতিতে বল করার জন্য গুরুনানক কলেজ টিমকে স্লো ওভার রেটের জন্য ৫১ রানের ফাইনও দিতে হয়।
যদিও বিপক্ষ দলকে আরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আর তাদের ৬০ রানেই শেষ হতে হয় কারণ যশ সিং বল হাতে নায়কোচিত পারফর্মেন্স করেন। যশ ৫.২ ওভারে মাত্র ১৪ রান ৭ উইকেট নেন, এবং নিজের দলের ৩৯৮ রানের লিড নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। ২০১৬য় মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসন প্রনবকে ১০০০০ টাকার স্কলারশিপ প্রদান করে। যদিও নিজের ফর্মে থাকা অবস্থাতেই তিনি ওই পাঁচ বছরের স্কলারশিপ নিতে অস্বীকার করেন, এবং স্থানীয় ক্রিকেটে খেলাই মনস্থির করেন।
এইচডি কাঙ্গা লিগ নিয়ে কথা যাক, প্রনব নির্বাচকদের প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হন দাদর ইউনিয়ন এসসি প্লেয়িং একাদশে জায়গা পেতে, যা ‘এ’ ডিভিসনের অঙ্গ। ভাগ্য তার সঙ্গ না দেওয়ায়, এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি বাড়াতে অসফল হয়ে প্রনব বড়ো সুযোগ হাতছাড়া করেন।