মাঠ এবং মাঠের বাইরেও নিজের আক্রামনত্মক মনোভাবের জন্য প্রসিদ্ধ ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বিপক্ষকে তার উইলোর শাসনেই নিয়ন্ত্রন করতে পছন্দ করেন তিনি, তবুও কখনও কখনও বিপক্ষের সঙ্গে বাক্য বিনিময় করতেও পিছু হটেননা তিনি। কোহলির খেলার প্রতি এই মনোভাব অনেকের কাছেই প্রশংসাযোগ্য আবার অনেকেই বিরাটের এই মনোভাবকে অতিরিক্ত এবং অশালীন বলে বিচার করে থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার তথা কিংবদন্তী ক্রিকেটার জ্যাক কালিস শান্ত এবং সংগৃহীত মনোভাবাপন্ন একজন মানুষ। তার এই দৃষ্টিভঙ্গীই তাকে সাফলের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে এবং তিনিও ক্রিকেট জগতের কাছ থেকে বিশেষ ভাবে সম্মান আদায় করে নিতে পেরেছেন। এই অলরাউন্ডারও খেলায় আক্রামনাত্মক মনোভাবকে নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দিয়ে আগ্রহ প্রকাশ অরেছেন যে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিও যেন ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির জন্যই নিজের মনোভাবকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখেন।
কালিসের উপদেশ বিরাটকে
কয়েকদিন আগেই একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে এই কিংবদন্তী অলরাউন্ডার জানিয়েছেন “একজন নেতা হিসেবে কখনো আপনি এতটা অ্যাগ্রেসিভ হতে পারবেন না যেমনটা ও সবসময়ে করে থাকে, এটাই একমাত্র একটা জায়গা যা নিয়ে ওকে ভাবতে হবে। অধিনায়কত্বের ক্ষেত্রে ও এখনও অনেকটাই তরুণ। তবে আমি নিশ্চিত যে ওর যত বয়স বাড়বে ও ততই একটু ঠান্ডা হয়ে যাবে। কিন্তু খেলার ব্যাপারে বিরাট স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ প্যাশনেট এবং এটা দেখতেও খুব ভাল লাগে”।
সাফল্য কখনও কখনও ভীষণই সংক্রামক হয় এবং এই সংক্রামন নিজের ভেতর আত্মতুষ্টি আনতে পারে। তাই লক্ষ্য অর্জন করার পরে নিজেদের জোর করে পিষে ফেলা উচিৎ নয়। কারণ মনোভাব কেরিয়ারে ভবিষ্যতের কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখী ফেলে দেয়। কালিস তার সাক্ষাতকারে ভারতের যে জায়গাগুলোতে উন্নতি করতে হবে তার উপরে জোর দিয়েছেন যাতে ভবিষ্যতে ভারতীয় দল আর সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, “একটা ক্ষেত্রে ভারত এখনও চেষ্টা করেছে তাদের রেকর্ডকে ভালো করার, আর তা হল তাদের বিদেশের ট্র্যাক রেকর্ড। যে ধরনের উইকেটে খেলে তার অভ্যস্ত তার থেকে একটু বেশি গতি সম্পন্ন উইকেটে তারা সমস্যায় পড়ছে।