বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও নিজামুদ্দীন চৌধুরি জানিয়েছেন বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ প্লেয়ারদের এবার থেকে বিদেশি লিগ খেলার অনুমতির জন্য প্রতি বছর দুটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। প্রতিটা প্লেয়ারকেই একটি চিঠির মাধ্যমে শীঘ্রই চালু হতে চলা এই নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে দেওয়া হবে। এই নিষেধাজ্ঞা ক্রিকেটের সমস্ত ফরম্যাটেই চালু হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এই সমস্ত প্লেয়ারদের বাংলাদেশের ফার্স্টক্লাস টুর্নামেন্টে খেলতে বাধ্য থাকার কথাও জানিয়েছে বিসিবি। নিজামুদ্দীন জানান, “ এটা একটা নীতি, আর বোর্ড এই নীতির সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। আমরা প্রতি বছর মাত্র দুটি করে এনওসির অনুমতি দেবো। এটা কেস বাই কেসের ভিত্তিতে হবে, সেই সঙ্গে দ্রুতই এটা কার্যকরি করা হবে। আমরা চাই প্লেয়ারদের প্রয়োজনীয় রেস্ট দিতে এবং তাদের চোট আঘাত থেকে সামলাতে। আমরা প্রতিটা প্লেয়ারকেই আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাই”।
যদিও বাংলাদেশের ক্রিকেটারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান দেবব্রত পাল বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে রাজি নন, তিনি মনে করেন এতে প্লেয়াররা বঞ্চিত হবেন। এব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, “ এটা হতে পারে না। এবং এটা পৃথিবীর কোথাও হয় না। এ ব্যাপারে আমাদের অবগত করানো হয় নি। এটা নিয়ে আমরা অবশ্যই প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে”। লক্ষ্য করার মত ব্যাপার যে চৌধুরি বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ সম্বন্ধে কিছুই খোলসা করে বলেন নি। এর মানে বাংলাদেশ বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে প্রভাবিত হবেন সাকিব আল হাসান। কারণ বিশ্বজুড়ে আইপিএল, বিবিএল, পিএসএল, সিপিএল এর মত টি২০ লিগ খেলা তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচিত এবং জনপ্রিয় প্লেয়ার। তামিম ইকবাল, মুস্তাফিজুর রহমান এবং মাহমুদুল্লার মত বাংলাদেশের অন্যান্য প্লেয়াররাও এই মুহুর্তে নানান বিদেশি লিগে খেলা শুরু করেছেন। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে এতসব বিদেশি লিগের মধ্যে থেকে এবার মাত্র দুটি লিগকেই বেছে নিতে হবে তাদের। খবর অনুযায়ী এর আগেও বাংলাদেশী ক্রিকেট বোর্ড সাকিবের ক্ষেত্রে এনওসি দিতে অসম্মত হয়েছিলেন। যার ফলে তাকে ২০১৪য় ৬ মাসের জন্য নির্বাসিতও করা হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তার দুর্ধর্ষ পারফরমেন্সের ফলে তার উপর থেকে সেই নির্বাসন তুলে নেওয়া হয়। যদিও বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কোনো বাংলাদেশী প্লেয়াররই এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চান নি। যা দেখে মনে করা হচ্ছে যে এই ইস্যুতে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার ব্যাপারেও বাংলাদেশ বোর্ডের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে প্লেয়ারদের উপর।