স্পোর্টস স্টারের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী দিল্লির অধিনায়ক ইশান্ত শর্মা মহারাষ্ট্র ম্যাচের আগে দিল্লির দলে যোগ দিতে চলেছেন। তার নাম ইতিমধ্যেই এই টুর্নামেন্টে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু তিনি তা প্রথম দু ম্যাচের জন্য তুলে নিয়েছেন। কারণ তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পর বিশ্রাম চান। এই মুহুর্তে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ ইশান্ত দিল্লির হয়ে খেলার জন্য প্রস্তুত। এই মরশুমের শুরু থেকেই তাকে অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছিল গৌতম গম্ভীর অধিনায়কত্ব না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর। মরশুমের বেশ কিছু ম্যাচে অধিনায়কত্ব করার পর ইশান্ত শেষ দুটি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করতে পারেন নি তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কমিটমেন্টের জন্য। ইশান্তের অনুপস্থিতিতে দিল্লির অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া হয় ঋষভ পন্তের হাতে, কিন্তু ফের তাকে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, কারণ অধিনায়কত্ব তার ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে।
তার জায়গায় অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া হয় প্রদীপ সাঙ্গওয়ানের হাতে, এবং সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে তিনি দিল্লির খেতাব জেতেন। ইশান্তের অনুপস্থিতিতে বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম দুটি ম্যাচেও তিনি দিল্লির অধিনায়কত্ব করে জয় তুলে নেন, কিন্তু ইশান্তের দলে ফিরে আসায় এবার তিনি সহ অধিনায়কত্বের ভূমিকা পালন করবেন। কিন্তু এই মুহুর্তে দিল্লির দলে ইশান্তকে জায়গা ছাড়তে কাকে বেছে নেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। দিল্লির দলের একটি সুত্রের মতে দিল্লি সম্ভবত দুজন স্পিনার অলরাউন্ডার নিয়ে খেলবে ফলে ইশান্তকে দলে জায়গা দিতে সম্ভবত নভদীপ সাইনি অথবা কুলবন্ত খেজরোলিয়ার কাউকে বাইরে বসতে হতে পারে। কিন্তু যদি দিল্লি ইশান্ত, সাগওয়ান, খেজরোলিয়া এবং সাইনিকে নিয়ে চারজন জোরে বোলারে খেলতে চায় সেক্ষেত্রে মনন শর্মা অথবা পবন নেগীর মধ্যে কাউকে বাইরে বসতে হতে পারে। এই মুহুর্তে বিজয় হাজারে ট্রফিতে গ্রুপ বি থেকে দ্বিতীয় পজিশনে রয়েছে দিল্লি, প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র যারাও দুটি ম্যাচ জিতেছে।
এই অবস্থায় দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে ম্যাচে যারাই জয় লাভ করতে তারা লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকবে। উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে নিজেদের ৩০৭ রানের স্কোর বাঁচিয়ে দিল্লি তাদের হারিয়ে দেয় প্রথম ম্যাচে। দিল্লির হয়ে সেঞ্চুরি করেন উন্মুক্ত চন্দ। দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটসম্যানরা ভাল পারফর্মেন্স করেন। নিতিশ রানার অপরাজিত ৯৪ রানের সৌজন্যে তারা ২৯৯ রানের বিশাল লক্ষ্য সহজেই তাড়া করে ১০ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয়। এই মরশুম দিল্লির জন্য বেশ ভালই গিয়েছে। এই মরশুমে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে ওঠার পাশাপাশি তারা সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির খেতাবও জেতে। ইশান্ত শর্মার অধিনায়কত্বে দিল্লি তাদের স্বপ্নের দৌড় জারি রাখার পাশাপাশি বিজয় হাজারে ট্রফির পরের রাউন্ডে যাওয়ার খুব কাছেই রয়েছে তারা। তার জন্য আর মাত্র একটি ম্যাচই জিততে হবে দিল্লিকে।