পচেফস্ট্রমে ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের পর বাংলাদেশের জন্য বড় দু:সংবাদ হয়ে এল তামিম ইকবালের ইনজুরির খবর। এমনিতে ই বিশ্রামে থাকায় দলের সাথে নেই বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম এক সাথে দু’জন বাংলাদেশ দলের হয়ে টেস্ট খেলেছিলেন। এরপর প্রায় দশ বছর কেটে গেছে। এই লম্বা সময়কালে বাংলাদেশ টেস্ট দল একবারই মাত্র সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে ছাড়া খেলতে নেমেছিল।
২০১৩ সালে গল টেস্টে খেলেননি দু’জনের কেউ। অবশেষে চার বছর পর আবার সেই অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচের শুরুতেই পায়ের পেশিতে চোট পেয়েছিলেন তামিম। বিশ্রামের পর সেরে উঠে খেলেন প্রথম টেস্ট। সে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ফিল্ডিং করতে গিয়ে আবার ব্যথা পান আগের জায়গায়। ‘গ্রেড ওয়ান টিয়ার’ চোট হওয়ায় স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে যান টাইগার ওপেনার। দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকই তামিমকে অন্তত চার সপ্তাহের বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। চার সপ্তাহ বিশ্রামে গেলে দ্বিতীয় টেস্ট তো বটেই, ওয়ানডে ও টি- টোয়েন্টি সিরিজেও খেলা হবে না এই সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যানের। তবে বাংলাদেশ দলের ফিজিওর সঙ্গে কথা বলার পর টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে, ১০ থেকে ১২ দিন ভালোমত বিশ্রাম নিলে হয়তো ওয়ানডে সিরিজটা তামিম খেলতে পারবেন।
বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান আকরাম খান নিশ্চিত করেছেন তামিমের টেস্ট না খেলার বিষয়টি, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নান্নু ভাই আমাকে জানিয়েছেন টেস্টে না খেলার সম্ভাবনা রয়েছে তামিমের। তবে ওয়ানডে সিরিজের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। ’ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেন নি দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে তামিমের অনুপস্থিতিতে দারুণ খুশি দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। তার মতে তামিমই বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭ টি টেস্টে তামিমের পারফর্মেন্স একটুও উজ্জ্বল নয়। ১২ ইনিংসে তাদের বিপক্ষে মাত্র ২০৫ রান করেছেন তামিম। অর্ধশতক করেছেন মাত্র একটি। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে খেলা তিনটি টেস্টেও বিবর্ণ তামিমের পারফর্মেন্স। ৩ টি টেস্টে করেছেন ১১৭ রান (১৯.৫০ গড়)। নেই কোনো অর্ধশতক। সদ্য সমাপ্ত পচেফস্ট্রুম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫২ টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওপেন পজিশনের বাইরে ব্যাটিং করেন তামিম। প্রথম ইনিংসে ৫ নম্বরে ব্যাটিং করে খেলেছিলেন ৩৯ রানের ইনিংস।আর এই ৩৯ রানই আফ্রিকার মাটিতে তামিমের সর্বোচ্চ! দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেন করলেও সাজঘরে ফিরেন শূন্য রানে। আফ্রিকার অধিনায়ক ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, “তামিমের না খেলা আমাদের দলের জন্য ভালো খবর। কারণ, আমার চোখে ও বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। অনেক অভিজ্ঞও। আর এমন কন্ডিশনে কিভাবে ব্যাটিং করতে হয়, তা তামিম জানে।”