ভারতীয় অলরাউন্ডার ইরফান পাঠানের জন্য বরোদা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসনের তরফে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট জারি করা হল, যার ফলে তিনি অনুমতি পেলেন আগামি মরশুমে অন্যান্য রাজ্যের হয়ে খেলার। পাঠান বিসিএর কাছে একটি লিখত দরখাস্ত করেন যাতে তাকে নো অবজেকশন দেওয়া হয় অন্যান্য স্টেটের হয়ে খেলতে। এ প্রসঙ্গে বিসিএর সেক্রেটারি স্নেহাল পারিখ টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, “ বরোদা ক্রিকেট টিমের প্রতি ইরফানের যোগদানের কথা বিবেচনা করে ম্যানেজিং কমিটি রাজি হয়েছে ওকে এনওসি দিতে। ও এই মুহুর্তে যে কোনো দলের হয়ে খেলার জন্য মুক্ত”। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে নির্বাচকরা তার নাম বিবেচিত না করায় ইরান ওই এনওসির আর্জি জানান। এর আগে তাকে এই মরশুমের জন্য রঞ্জি ট্রফি দলের অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র দুটি ম্যাচ পরেই তাকে সরিয়ে তার জায়গায় দীপক হুডাকে আনা হয়। এমনকী টি২০র জন্যও নির্বাচকরা পাঠানের চেয়ে হুডার ওপরেরি ভরসা রাখেন, এবং পাঠান দলে তার জায়গা বজায় রাখতে ব্যর্থ হন। যা নিশ্চিতভাবেই ইরফানকে আঘাত করেছিল, যার ফলে তিনি অন্য রাজ্যের হয়ে খেলা মনস্থির করে ফেলেন। এটা ধরে নেওয়া যেতেই পারে যে বিজয় হাজারে ট্রফির জন্য তার নাম বিবেচিত নাও হতে পারে।
যার মানে দাঁড়ালো যে ইরাফান মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেই এই মরশুম শেষ করলেন। ইরফানের কেরালার হয়ে খেলার একটা বিশাল সম্ভবনা রয়েছে, কারণ মরশুম শুরুর আগেই প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী কেরালা তাকে পেশাদার হিসেবে খেলার জন্য অ্যাপ্রোচ করেছে। তারা এই কাজের জন্য পাঞ্জাবের ওপেনার জীবনজ্যোত সিংকেও অ্যাপ্রোচ করেছিলেন। যদিও এই দুজনের কেউই সেই প্রস্তাবে সম্মত হন নি ফলে কেরালাও শেষমেষ অরুণ কার্তিকের দিকে ঝোঁকে। ইরফানের ক্ষেত্রে যেহেতু আগে থেকেই তার কাছে এই প্রস্তাব ছিল, ফলে তার কেরালার হয়ে খেলার সম্ভবনাও রয়েছে। যেহেতু তিনি প্রায় পুরো মরশুমেই খেলার সুযোগ পান নি, ফলে এটা নিলামের দিন তার উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে অবিক্রিত অবস্থাতেও দেখতে পাওয়া যেতে পারে।
গত মরশুমেও নিলামে তিনি অবিক্রিতই থেকে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরবর্তীকালে গুজরাত লায়ান্স ডোয়েন ব্রাভোর পরিবর্ত হিসেবে তাকে তুলে নেয়। অন্যদিকে বরোদা সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির সুপার লিগে কোয়ালিফাই করে গিয়েছে। এবং দীপক হুডা এই টুর্নামেন্টের সেকেন্ড রাউন্ডেও দলকে নেতৃত্ব দেবেন। আগামি ২১ জানুয়ারি থেকে এই সুপার লিগের খেলা চালু হবে।