ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের চলতি মরশুমে বৃহস্পতিবার কলকাতার ইডেনে গার্ডেনে নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয় চেন্নাই সুপার কিংস। আইপিএলের ৩৩ তম ম্যাচে কেকেআর ঘরের মাঠে দুর্দান্ত প্রদশর্ন করে এই ম্যাচে ৬ উইকেটে জিত হাসিল করে। নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ঘরের মাঠে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরই চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার শেন ওয়াটসন এবং ফাফ দু’প্লেসি ব্যাট হাতে মাঠে নামেন।
চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার প্রথম উইকেট জুটিতে ৩১ বলে ৪৮ রানের পার্টনারশিপ খেলেন। এরপরই আউট হয়ে যান দু’প্লেসি। ওয়াটসনের সঙ্গে এরপর সুরেশ রায়না ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চালু রাখেন। এই দুই ব্যাটসম্যান চেন্নাইয়ের রান ১০ ওভারে ৯০ এ পৌঁছে দেয়। কিন্তু দ্রুত কেকেআর বোলাররা ম্যাচে ফিরে এসে পরপর চেন্নাইয়ের ৩ উইকেট তুলে নেয়। শেষ পর্যন্ত ফর্মে থাকা ধোনির দুরন্ত ইনিংসের দৌলতে সিএসকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৭ রানের স্কোর দাঁড় করায়। ধোনি ২৫ বলে ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পাশাপাশি শেন ওয়াটসন, সুরেশ রায়না এবং ফাফ দু’প্লেসিও গুরুত্বপুর্ণ যোগদান করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ক্রিস লিনের উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় কেকেআর। কিন্তু উল্টো দিকে নিজের পরিচিতির অনুযায়ীই খেলতে থাকেন নারিন। কেকেআরের হয়ে এই ম্যাচে দ্রুত রান এলেও নিয়মিত উইকেটও পড়তে থাকে। ১০০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর পঞ্চম উইকেট জুটিতে শুভমান গিল এবং দীনেশ কার্তিক ৩৬ বলে ৮৩ রানের পার্টনারশিপ খেলেন, যা কেকেআরকে ১৪ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেট জয় এনে দেয়। শুভমান ৫৭ এবং কার্তিক ১৮ বলে ৪৫ রান করেন।
ম্যানেজমেন্টকে অনুর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটারদের বাছার শ্রেয়
এই দুরন্ত জয়ের পর কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক বলেন, “ কৃতিত্ব ম্যানেজমেন্টের, যারা বেশ কিছু অনুর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটাদের নির্বাচিত করেছেন। আমরা প্রথমে গিলকে নিয়ে কিছুটা কঠোর ছিলাম, কিন্তু ও যখন প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারে, তখন ও দুরন্ত ছিল। ওর কোনও চাপই অনুভূত হচ্ছিল না। ও একজন স্পেশাল ব্যাটসম্যান”।
কার্তিক দলের পারফর্মেন্স নিয়ে আরও জানান, “আমাদের বোলাররা আজ দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিল। তাই আমি ওদের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখার ব্যাপারে খুশি। আমরা তাড়াতাড়ি শেষ করতে চাইছিলাম কারণ আমরা দুজনেই সেট ছিলাম এবং টি২০ ক্রিকেটও বাস্তবে এমন একটা ফর্ম্যাট যা আপনাকে গতি দেয়। সুনীল একজন অলরাউন্ডার পারফর্মার এবং আমাদের জন্য ভালো বোলিংও করেছে”।