এটাই তার প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, আর এই সফরের প্রথম ম্যাচেই সাফল্য পেয়েছেন তিনি। নেপথ্যে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তার বোলিং গড় ১০-০-৩৪-৩। তার শিকারের তালিকায় রয়েছেন ডেভিড মিলার, ক্রিস মরিস এবং জেপি ডুমিনির মত দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানেরা। এমন যার বোলিং ফিগার তিনি সফরের শুরতেই ছিলেন দ্বিধায়। বুঝে উঠতে পারছিলেন না ঠিক কি ভাবে বল করা উচিৎ দক্ষিণ আফ্রিকার এই পিচে। অন্তত ম্যাচ শেষে এক কথাই সাংবাদিকদের জানান এই ভারতীয় রিস্ট স্পিনার।
কুলদীপ বলেন, “ আমি প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে খেলছি তার শুরুর দিকে বুঝেই উঠতে পারছিলাম না কীরকম বল করা উচিৎ এই ধরনের পিচে। বলা যায় এটা আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন এক অভিজ্ঞতা। আমাদের বোলিংয়ের সময় ডারবানে হাওয়ার দাপট ছিল যথেষ্ট ভাল। ফলে আমার বোলিংয়ের ভ্যারিয়েশন নিয়েও দ্বিধায় পড়ে গেছিলাম আমি”। আর এখানেই এগিয়ে এসেছেন ধোনি। কুলদীপও কৃতিত্ব দিয়েছেন ধোনিকে। কুলদীপ এ প্রসঙ্গে বলেন, “সব কিছু নিয়েই যখন আমি দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলাম ঠিক সেই সময়ই আমি মাহি ভাইয়ের কাছে জানতে চাই কিভাবে বলা করা উচিৎ হবে। মাহিভাই আমাকে জানান যে বেশি ভাবনা চিন্তা না করে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেল। এছাড়াও উইকেটের পেছন থেকেই সবসময় পরামর্শ দিয়ে যায় মাহিভাই। আর এটাই আমাকে প্রথম ম্যাচে ভীষণ সাহায্য করেছে”।
এটুকুতেই থামেননি ভারতের নতুন স্পিন জুটির অন্যতম কুলদীপ। তিনি আরও বলেন, “ মাহি ভাই উইকেটের পেছন থেকে স্পিনারের ৫০ শতাংশ কাজটাই করে দেন। যেহেতু ও দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট খেলছে ফলে ব্যাটসম্যানদের মানসিকতাটাও অনেক ভালো বোঝে ও”। অতীতেও একই জিনিস দেখা গেছে ভারতীয় ক্রিকেটে। তা সে বোলারদের পরামর্শ দেওয়াই হোক কিংবা রিভিউ সিস্টেমের সিদ্ধান্ত নেওয়া, বিরাট কোহলি খাতায় কলমে অধিনায়ক হলেও সব কিছুই করতে দেখা যায় এই প্রাক্তন অধিনায়ককেই। তার ফলও হাতে নাতে পেয়ে যান বিরাট কোহলি সহ গোটা ভারতীয় দল। খাতায় কলমে তাই অধিনায়ক না হয়েও এখন ভারতীয়দের মনের আসল অধিনায়ক তিনি।