দক্ষিণ আফ্রিকার জোরে বোলার ডেল স্টেইন আগামি চার থেকে ছ সপ্তাহের জন্য দলের বাইরে চলে গেলেন পায়ের গোড়ালির সমস্যায়। যার মানে দাঁড়াল ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে তিনি আর খেলতে পারবেন না। আলরেডি নিজের ফিটনেস নিয়ে তার প্রথম টেস্টে দলা থাকা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল কিন্তু সকলকে অবাক করেই তিনি প্রথম একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার টিম ম্যানেজার মহম্মদ মুসাজি এব্যাপারে জানান, “ স্পষ্টতই ও হতাশ হয়ে পড়েছিল, কিন্তু ও যত দ্রুত সম্ভব ঠিক হওয়ার চেষ্টা করবে। আপনি দেখতে পারেন যে ও সেখানে নিজেকে কতটা উপভোগ করছিল”।
খেলা চলাকালীনই স্টেইনের গোড়ালির চোতের পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, পরে জানা যায় তার বা পায়ের গোড়ালিতে টিস্যু টিয়ার হয়েছে। এই চোট স্টেইনের সাফল্যের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো, কারণ তিনি প্রায় এক বছর বাদে দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশে ফিরেছিলেন। নভেম্বর ২০১৬য় পার্থ টেস্ট চলাকালীন তার কাঁধের হাড় ভেঙে যাওয়ার কারণে অস্ট্রেলীয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ থেকে বাইরে হয়ে যান তিনি। এরপর তিনি প্রায় এক বছর বাদে ফের মাঠে ফেরেন, এবং জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক চারদিনের টেস্টে দলে জায়গা পান। এমনকী শুরু হওয়ার আগেই তিনি ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে দল থেকে বাদ পড়েন। এবং যখন তিনি ফের প্রথম একাদশে জায়গা পেলেন তখনই তিনি ফের আঘাত পেলেন এবং আবারও দল থেকে বাদ পড়লেন। টিম ইন্ডীয়ার প্রথম ইনিংসে স্টেইন দুই উইকেট নেন।
সেই সময় ভারতীয় দলের রান ২০৯ এও পৌঁছোয় যিনি যখন লাঞ্চ ব্রেকের পর ডিন এলগার হার্দিক পান্ডীয়ার ক্যাচ নেন। পান্ডিয়া ৯৩ রানের ইনিংস খেলেন এবং ভারতীয় ইনিংস শেষ হওয়ার পর দুই দলের মধ্যে ব্যবধান ৭৭ রানে নামিয়ে নিয়ে আসেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটের বিনিময়ে ৬৫ রান। এই মুহুর্তে তারা ভারতের থেকে ১৪২ রানে এগিয়ে রয়েছে। বিরাট কোহলির দলে উচিৎ তাদের স্কোর ২৫০ বেশি পৌঁছতে না দেওয়া কারণ এই সফরে প্রথম ইনিংসে তাদের ব্যাটসম্যানদের ফর্ম অনুযায়ী ২৫০ রানের বেশি স্কোর হলে তা ভারতের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে।