বুধবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের দর্শকরা আইপিএলের রুদ্ধশ্বাস ডার্বি ম্যাচের সাক্ষী হয়ে থাকল। আইপিএলের দুই দক্ষিণী দৈত্যের লড়াই প্রত্যক্ষ করল গোটা বিশ্বই। এই ম্যাচের শুরু থেকেই রুদ্ধাশ্বাস লড়াইয়ের প্রত্যাশা ছিল দুই দলের কাছেই। সমর্থকদের হতাশ করেন নি দুই দক্ষিণী দল। এই মরশুমে আইপিএলে ফিরে আসার পর থেকেই দারুণ ছন্দে রয়েছে ধোনির সিএসকে। টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ক্যাপ্টেন কুল। আরসিবির হয়ে শুরুটা ভালই করেছিলেন আরসিবির দুই ওপেনার কোহলি এবং ডি’কক। কিন্তু দ্রুতই আউট হয়ে যান আরসিবি অধিনায়ক। তবে বিরাটের আউট শাপে বর হয় আরসিবির কাছে। ব্যাট করতে নেমে নিজের মনোভাব শুরুতেই জানিয়ে দেন ডেভিলিয়র্স। এদিন শুরু থেকেই তিনি ছিলেন ধ্বংসের মনোভাবে।
আরসিবি বোলারদের নির্দয় প্রহার করে ৩০ বলে ৮টি ছক্কার সাহায্যে ৬৮ রান করে যান তিনি। শেষে দিকে মনদীপ সিঙ্ঘের দ্রুত ইনিংসের সাহায্যে ২০৫/৮ রান তোলে আরসিবি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিপদের মুখে পড়ে চেন্নাই। প্রথম ওভারেই আউট হয়ে যান ফর্মে থাকা ওয়াটসন। মিডল অর্ডারে ব্যর্থ হন রায়না, বিলিংস সহ জাদেজাও। ৭১ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে চেন্নাই। এরপরই রায়ডুর সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক ধোনি। শুরুতে সিঙ্গলসের উপর জোর দিলেও নিজের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী শেষ দিকে জ্বলে ওঠেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ফিনিশার। আরসিবির বোলারদের মাঠের বাইরে ফেলে দিয়ে দু বল বাকি থাকতেই চেন্নাইকে জয় এনে দেন তিনি। ম্যাচ শেষে স্পষ্টতই হতাশ দেখা আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে।
ম্যাচ শেষে তিনি জানান, “ আমাদের নজর দিতে হবে অনেক কিছুর দিকেই। স্রেফ মেনে নেওয়া যায় না আমরা যেভাবে বল করেছি। ৭২/৪ হয়ে যাওয়ার পর মাত্র ১ উইকেটের বিনিময়ে এভাবে রান উপহার দেওয়া ক্রিমিনালের মত কাজ। সামনের দিকে এগোতে গেলে আমাদের অনেক কিছুর দিকেই লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ এই ম্যাচে আমরা খুব ভাল বল করি নি। হজম করা খুবই কঠিন একটা সময়ে এটা সত্যি খুব কষ্ট দেয়। কিন্তু এটা চেন্নাইয়ের জন্য দারুণ ম্যাচ। (রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি সম্পর্কে)যারা মাঠে রয়েছে সেই সব প্লেয়ারদের আপনাকে সমর্থন করতে হবে। প্লেয়ারদের যে ক্ষমতা রয়েছে তা কাজে লাগানোর জন্য ওদের আত্মবিশ্বাস যোগাতে হবে। প্লেয়ারদের নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে পরিস্কার থাকার পাশাপাশি তাকে ভালভাবে এক্সিকিউটও করতে হবে। বিপক্ষের মধ্যেও দ্বিধা ছিল বোলাদের আক্রমণ করার ক্ষেত্রে তা সত্ত্বেও আমরা খুব বেশি সাহসী হতে পারি নি বল হাতে। পিচটা সত্যিই ভাল, আমরা তা নিয়ে খুশি। স্পিন বল ওদের এবং আমাদের কাছেই একটা ফ্যাক্টর ছিল। তবে দুপক্ষই উন্নত ব্যাটিং করেছে। ((রায়ডু তরুণ প্রতিভা কিনা তা নিয়ে) ও সবসময়েই ছিল, তাই ও তরুণ নয় (হাসি)। তবে আমরা সবাই জানি ও কোয়ালিটি প্লেয়ার। আইপিএলে এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ খেলার পাশাপাশি ভারতের হয়েও ভাল খেলেছে। ও প্রশংসার দাবীদার। ওর জন্য আমি খুশি। (ধোনি প্রসঙ্গে) ভালভাবে বল মারতে দেখে ভাল লাগছে, তবে আমাদের বিরুদ্ধে নয়। এটা চাই না। ব্যাটিংয়ে উপরের দিকে উঠে ও নিজেকে দারুণভাবে এক্সপ্রেস করতে, ভাল গতিতেই রয়েছে ও”।