বিরুস্কা জুটির অনুষ্কা মুখ খুলেছিলেন আগেই। এবার বিরাট কোহলিও তীব্র প্রতিবাদে মুখ খুললেন কাঠুয়া গণধর্ষণ কান্ডে। আইপিএল চলাকালীনই এই চুড়ান্ত নিন্দনীয় ঘটনার প্রতিবাদ করে সরব হলেন ক্যাপ্টেন কোহলি। রবিবারে আরসিবির ম্যাচ ছিল রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে দল হারলেও অধিনায়ক কোহলির ব্যাট জ্বলে উঠেছিল। বাইজ গজে জ্বলে ওঠার পাশাপাশি নিজের মানবিক চেহারাও প্রকাশ করলেন তিনি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোষ্ট করেছেন বিরাট। আর ওই ভিডিওটিতেই তিনি তীব্র সমালোচনা করেছেন ওই তীব্র নিন্দনীয় ঘটনার। ওই ভিডিয়োয় বিরাত বলেন, “ এটা খুবই বিরক্তিকর একটা ঘটনা। এই ধরমের একটা ঘটনা দেখা এবং তারপরও চুপ থাকাটা কাপুরুষতা। সেই সমস্ত মানুষের পুরুষ বলেই পরিচয় দিতে লজ্জা হওয়া উচিৎ”।
তবে এখানেই থেমে থাকেন নি বিরাট। ক্ষুব্ধ বিরাট আরও জানিয়েছেন, “ একটাই প্রশ্ন আছে আমার। ভগবান না করুন, যদি আপনার বাড়ির কারও সঙ্গে এটা হত, আপনি কি চুপ করে থাকতেন? নাকি সাহায্য করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তেন। আমার ধারণা এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেওয়া হয়। সবাই নীরব থাকে এবং ভাবেন যে এটা খুবই স্বাভাবিক। একজন মেয়ে এরকম ছোটো খাটো পোষাক পড়লেই নাকি এরকম হতে পারে! আশ্চর্য এটা ওই মেয়েটির জীবন ওর সিদ্ধান্ত এবং ওর পছন্দ। যদি পুরুষরা মনে করেন এটা তাদের কুকর্মের এবং সেটা করে তাদের পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ বাড়াচ্ছে, এবং যারা ক্ষমতায় রয়েছেন তারা যদি এটাকে আড়াল করার চেষ্টা করেন তাহলে তা ভয়ংকর। আমি স্তম্ভিত। আমার নিজেকে এই সমাজের অংশ মনে করতে লজ্জা লাগছে”।
অন্যদিকে আরও এক প্রাক্তন ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলিও প্রবাদ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে হুঁশিয়ার দিয়েছে কাম্বলিও। তিনি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি এক রাতের মধ্যেই দেশের কারেন্সি বদলে দিতে পারেন। এক রাতের মধ্যেই আপনি কর সিস্টেম বদলে দিতে পারেন। এখন আপনি যদি এই ধর্ষণের সংস্কৃতি বদলে দিতে না পারেন, এবং এই ধর্ষকদের শাস্তি দিতে না পারেন, তাহলে এক রাতের মধ্যেই আমি আমার ভোট বদলে ফেলতে পারি। ২০১৯ কিন্তু খুব বেশি দূরে নয়”। এখন দেখার সমাজের সব স্তরের মানুষের পাশাপাশি ভারত অধিনায়কের এই প্রতিবাদে কতটা গতি পায় ওই ঘটনার তদন্তের কাজ।