ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসর হল দুলীপ ট্রফি, যেটি শুরু হতে বাকি আর মাত্র দুদিন। এই ঘরোয়া আসরটি শুরুর আগে ভারতীয় জাতীয় দলের বাহিরে থাকার সুরেশ রায়না নিজেকে প্রস্তুত করার একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু এ বাম হাতি ব্যাটসম্যান নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ টি হাত ছাড়া করেছেন। মাত্র নয় রানে ই শেষ হয়ে যায় রায়নার ইনিংস। অথচ ইনিংসের শুরু টা হয়েছিল অসাধারন। পর পর দুটি চার মেরে শুরু করেছিলেন ; কিন্তু দ্রুত ই তার ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। দলের বাহিরে থাকা সুরেশ রায়নার ফিটনেস নিয়েও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে “ইউ ইউ” টেস্টে উৎরাতে না পারার কারনে সুরেশ রায়না শ্রীলঙ্কা সিরিজে দলে সুযোগ না পাওয়ায়।
সম্প্রতি ভারতের নির্বাচকমণ্ডলী এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলী ফিটনেসের প্রয়োজনীয়তার উপর যে গুরুত্ব দিচ্ছিলেন রবী শাস্ত্রীর কথায়ও তা প্রতিধ্বনিত হল। দলে সুযোগ পাওয়ার পূর্বশর্ত হবে ফিটনেস, নির্বাচকদের এমন সিদ্ধান্তও তিনি সমর্থন করেন। শাস্ত্রী জানিয়ে ছিলেন ফিটনেস ই সবচেয়ে বড় বিষয় হবে দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে, যদি কারো ফিটনেস ঠিক না থাকে তবে সে যত বড় তারকা ই হোক না কেন সুযোগ পাবে না। এ সময় শাস্ত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয় সুরেশ রায়নার দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভনা কতটুকু। তখন তিনি বলেন, ” যেহেতু দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু মানদন্ড আছে তাই কেউ দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য অবশ্য ই সেটা পূর্ণ করতে হবে। এটা খুব সাধারন বিষয়।” তিনি বলেন, ” দল নির্বাচনের সাথে জড়িত হওয়া আমার কাজ না, কারন আমি চাই সব খেলোয়ার আমাকে বিশ্বাস করুক। দল নির্বাচন করা নির্বাচকদের কাজ। তারা অনেক বেশি খেলা দেখেন এবং সারা বছর ধরে সারা দেশের খেলা দেখেন। তাই তাদের চোখে তারা ই সুযোগ পাবে।”
এদিকে সুরেশ রায়নার ব্যাট রান খরা থাকলেও উত্তর প্রদেশ পাঁচ উইকেট হারিয়ে সহজে ই মুম্বাইর ২৩৫ রানের লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এক সময় ৬২ রানে উত্তর প্রদেশের তিন উইকেট পড়লে পরাজয়ের শঙ্কা দেখা দিলেও চতুর্থ উইকেটের জুটিতে সেই শঙ্কা দূর হয়ে যায়। এক সময়ে ভারতের সীমিত ওভারের দলের নিয়মিত মুখ সুরেশ রায়না সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৫ সালে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেললেও বাদ পড়েছে বিসিসিআই এর কেন্দ্রীয় চুক্তি হতে।