এই কারণে শচীন তেন্ডুলকরের স্ত্রী অঞ্জলি স্টেডিয়ামে যেতেন না ম্যাচ দেখতে, স্বয়ং শচীন করলেন তার খোলসা

মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকর বর্তমানে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন, কিন্তু এই খেলায় তার যোগদান এবং কৃতিত্বকে কেউই আস্বীকার করতে পারবে না। নিজের সম্পুর্ণ কেরিয়ারে তিনি ভারতে এই খেলাটিকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন এবং ফ্যানেরা আজও তাকে স্মরণ করেন। যদি ভারতে ক্রিকেটকে ধর্ম হিসেবে ধরা হয়ে থাকে তাহলে শচীন সেই ধর্মের ভগবান। সম্প্রতি শচীন গৌরব কাপুরের টিভি বিখ্যাত টক শো ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়নে উপস্থিত ছিলেন যেখানে তিনি নিজের পেশাদার এবং ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে অনেক কিছু প্রকাশ করেছেন। এই শো চলাকালীন তিনি খোলসা করেছেন যে তার স্ত্রী কখনওই তার কোনও ম্যাচে অংশ নেন নি। যদিও এই প্রশ্ন তাকে বহুবার এবং বহু জায়গাতেই করা হয়েছে। যেখানে আজ আমাদের ক্রিকেটারদের দলে অনেক সময়ই তাদের দলের হয়ে এবং সেই ক্রিকেটাদের হয়ে সমর্থন জানাতে দেখা যায় তাদের স্ত্রী দের।
এই কারণে শচীন তেন্ডুলকরের স্ত্রী অঞ্জলি স্টেডিয়ামে যেতেন না ম্যাচ দেখতে, স্বয়ং শচীন করলেন তার খোলসা 1
কিন্তু শচীনের স্ত্রী অঞ্জলিকে কখনওই ক্রিকেট মাঠে দেখা যায় নি। কিন্তু যে কারণে অঞ্জলি মাঠে যেতে না বলে শচীন জানিয়েছেন তা খানিকটা অন্ধবিশ্বাস পরিপূর্ণ। তিনি একটি ঘটনার কথা স্মরণ করেছেন, যখন অন্যান্য ক্রিকেটারদের স্ত্রীরা অঞ্জলিকে স্টেডিয়ামে আসার অনুরোধ করেন তখন তিনি এটাকে অন্ধবিশ্বাস বলে স্বীকার করতে অস্বীকৃত হন। এছাড়াও তিনি তাদের বলেন যে শচীন স্বয়ং তার পরিবারের লোকজনদের মাঠে আসা পছন্দ করতেন না কারণ এতে তার মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়। সেই সময় অন্যান্য ক্রিকেটারদের স্ত্রীরা একটি মাস্টার প্ল্যান বানান, এবং জানান যে তাকে পুরো সত্যিটা বলতে হবে এবং ম্যাচ দেখতে যেতে হবে। সেই সময় অঞ্জলি তাদের সঙ্গে ম্যাচ দেখতে যেতে রাজি হন।
এই কারণে শচীন তেন্ডুলকরের স্ত্রী অঞ্জলি স্টেডিয়ামে যেতেন না ম্যাচ দেখতে, স্বয়ং শচীন করলেন তার খোলসা 2
শচীন জানান সেটি ছিল বক্সিং ডে টেস্ট। ব্রেট লি বোলিং করছিলেন এবং শচীন প্রথম বলেই আউট হয়ে যান। এটা সেই সময় ছিল যখন অঞ্জলি স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন এবং হঠাৎ করেই তাকে স্টেডিয়ামের বাইরে চলে যেতে হয়। সেই দিনের পর থেকেই অঞ্জলি আর কখনও শচীনের ম্যাচ দেখতে মাঠে যান নি। যদিও তিনি শচীনের শেষ টেস্টে মাঠে উপস্থিত ছিলেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *