দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজে ১৫ উইকেট নিয়েছেন। নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন পেস খেলায় অভ্যস্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু এত কিছুতেও সন্তুষ্ট নন তার এক সময়ের গুরু। বরনগ বলে দিচ্ছেন রান আপে সমস্যা রয়েছে তার। শিষ্যের নাম মহম্মদ শামী আর তার গুরু নাইট রাইডার্সের একসময়ের বোলিং কোচ তথা সুইংয়ের সুলতান ওয়াসিম আক্রম। আক্রমের কথায় রান আপে সমস্যা রয়েছে ভারতের এই জোরে বোলারের আর তা যদি তিনি কাটিয়ে উঠতে পারেন তাহলে ইংল্যান্ডের মাটিতে তিনি হয়ে উঠবে অপ্রতিরোধ্য। দীর্ঘদিন আইপিএল বোলিং কোচ থাকার সুবাদে খুব কাছ থেকেই শামীকে দেখেছেন আক্রম। এবং একথাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে আক্রমের পরামর্শেই এই বাংলার বোলারটি হয়ে উঠেছিলেন ভারতীয় জোরে বোলিংয়ের প্রধান অস্ত্র। তবে প্রাক্তন এই পাকিস্থানী কিংবদন্তীর দক্ষিণ আফ্রিকায় শামীকে বল করতে দেখে মনে হয়েছে যে শামীর রান আপের সমস্যা তার স্বাভাবিক ছন্দকে নষ্ট করে দিয়েছে। সম্প্রতি পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আক্রম বলেন, “ কোনো সন্দেহ নেই যে শামী একজন দুর্দান্ত বোলার।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় ওকে বল করতে দেখে কোনো কোনো সময়ে মনে হয়েছে ওর বোধহয় রানআপে একটা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর সেই সমস্যা কাটাতে ওকে আরো গতি বাড়িয়ে সামনের পায়ে দ্রুত খেলার জন্য ব্যাটসম্যানকে বাধ্য করতে হবে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি যে রান আপের সময় শামী ছোটো স্ট্রাইড নিচ্ছে। এর ফলে ওর বলের স্বাভাবিক গতি অনেকটাই কমে যাচ্ছে। ফলে ছন্দও নষ্ট হচ্ছে ওর। যদিও টেস্ট সিরিজে যথেষ্ট ভালো বল করেছে শামী। তবে ওর পক্ষে এটাই সঠিক সময় নিজের ভুল শুধরে নেওয়ার”। জোরে বোলারদের ক্ষেত্রে চোট আঘাত একটা বড়ো সমস্যার। শামীরও নিজের হাঁটুর চোট নিয়ে সমস্যা রয়েছে বহুদিন ধরেই। আক্রম জানিয়েছেন সেই হোট পুরোপুরি ভাবে সারাতে না পারলে সমস্যায় পড়বেন শামী। এ ব্যাপারে ওই সাক্ষতকারে তিনি জানিয়েছেন যে, “ শোয়েবের (আখতার) হাঁটুতেও একই রকম সমস্যা ছিল। আমার মতে যে ভাবেই হোক শামীকে পায়ের পেশির জোর বাড়াতে হবে।
ও যদি আরও বেশিদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে চায় তাহলে এই চোট ওকে সারাতেই হবে”। ভারতীয় দলের উঠতি তারকা জসপ্রীত বুমরাহকে নিয়েও নিজের মতামত দিয়েছেন এই পাকিস্থানী জোরে বোলার। বুমরাহ সম্বন্ধে তিনি বলেন, “ ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় এতটা বাউন্স কিন্তু পাবে না বুমরাহ। যদি ইংল্যান্ডের মাটিতে বুমরাহকে সাফল্য পেতে হয় তাহলে ওর উচিৎ কাউন্টি ক্রিকেট খেলা। তাছাড়াও ওর নিজের কবজি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কব্জিকে আরও মসৃণভাবে ব্যাবহারের ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে। তবে ওকে টেস্টে সিরিজে বোলিং করতে দেখে আমার তো বেশ ভালই লেগেছে”। এখন দেখার বিষয় ভারতীয় জোরে বোলিংয়ের এই দুই ভরসা আক্রমের পরামর্শে আরও কতটা নিজেদের উজার করে দিতে পারে।