পরপর সাতটি ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স পার করতে পারল না মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হার্ডল। অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক ক্রিজে থাকা সত্ত্বেও দলকে জয় এনে দিতে ব্যর্থ হন। ব্যাটিং পিচে দুই ওপেনার সূর্যকুমার যাদব এবং এভিন লুইস মুম্বাইয়ের হয়ে আতসবাজির শুরুয়াত করেন। সূর্যকুমার তা দুরন্ত ফর্ম এই ম্যাচেও ধরে রেখে সাতটি চার এবং গোটা দুই ছয়ের সাহায্যে ৩৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে তার সঙ্গী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান এভিন লুইস পাঁচটি চার এবং দুটি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন। অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া শেষ দিকে দুরন্ত খেলে দলের ইনিংসকে একটি শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন। তার ২০ বলে অপারাজিত ৩৫ রান মুম্বাইকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮১/৪ এ নিয়ে যায়। কলকাতার হয়ে সুনীল নারিন ২ উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কেকেআর দ্রুত তাদের দুই ওপেনারকে হারায়।
তরুণ তারকা শুভমান গিলকে গত ম্যাচে তার দুরন্ত পারফর্মেন্সের কারণে এই ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডারের শুরু দিকে তুলে আনা হয়। কিন্তু তিনি আগের ম্যাচে টেম্পোকে ধরে রকাহতে ব্যর্থ হন। মাত্র ১৭ রানে আউট হন ক্রিস লাইন বং গিল আউট হন মাত্র ৭ রানে। রবিন উথাপ্পার ৩৫ বলে ৫৪ রানের ইনিংস নাইটদের ইনিংসকে কিছুটা সহজ করে দিয়েছিল, কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। একইভাবে কার্তিক এবং নীতিশ রানাও যথাক্রমে ৩৬ এবং ৩১ রান যোগ করেন, কিন্তু কিছু ক্যাচ ছাড়া সত্ত্বেও ফিল্ডিংয়ে মুম্বাইয়ের দুরন্ত প্রচেষ্টা তাদের এই ম্যাচে জয় এনে দেয়। বল হাতে দুই উইকেট নেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া এবং ক্রুণাল পান্ডিয়ার দুরন্ত ক্যাচ এই ম্যাচ মুম্বাইয়ের দিকে ঘুরিয়ে দেয়।
দেয়। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কার্তিকে কিছু ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ যেভাবে রবিন উথাপ্পা এবং নীতিশ রানা ব্যাট করেছে, আমি খুশি হতা যদি তাদের মধ্যে কেউ একজন ব্যাটিংটা চালিয়ে যেত। তারা খুব একটা ভাল শট খেলেনি, যা ওই মোমেন্টামটিকেই শেষ করে দেয়। অনেকেই নারিনকে ওপেনিং করতে না দেখে অবাক হয়েছে; ও সেভাবে সুস্থ বোধ করছিল না। সে কারণেই ও ব্যাট করতে আসতে পারে নি”।