দিল্লির বিরুদ্ধেও নিজেদের জয়ের ধারা বজায় রাখল চেন্নাই সুপার কিংস। পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে এদিন দলে তিনটি পরিবর্তন করে খেলতে নেমেছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক ধোনি। শেন ওয়াটসনের সঙ্গে নতুন ওপেনিং জুটি হিসেবে খেলতে নেমেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ দু’প্লেসি। আহত দীপক চহেরের জায়গায় দলে এসেছিলেন লুঙ্গি এনগিডি। সেই সঙ্গে লেগ স্পিনার ইমরান তাহিরের জায়গায় দলে এসেছেন কেএম আসিফ। এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু খুব একটা সুবিধা করতে পারেন নি তিনি। সেঞ্চুরি করার পর গত দুটি ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকা ওয়াটসন ফের এই ম্যাচে জ্বলে ওঠেন। তাকে যোগ্য সহায়তা দেন ফাফ দু’প্লেসি। এই দুজনে মিলে প্রথম উইকেট জুটি তে ১০২ রানের পার্টনারশিপ খেলে চেন্নাইকে শক্ত ভিতের উপরে দাঁড় করিয়ে দেন। যদিও চেন্নাইয়ের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না তার ফায়দা নিতে পারেন নি।
দ্রুতই আউট হয়ে যান তিনি। রায়নার আউট হয়ে যাওয়া যদিও চেন্নাইকে খুব একটা বিপদে ফেলতে পারে নি। এই ম্যাচে নিজেকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরে নিয়ে এসেছিলেন অধিনায়ক ধোনি। তিনি এবং আম্বাতি রায়ডু মিলে বিধ্বংসী ব্যাটিং করে চেন্নাইকে বড় রানে পৌঁছে দেন। এই ম্যাচে ২২ বলে ৫১ রান করে আইপিএলে নিজের দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ধোনি। মূলত ওয়াটসন ধোনি এবং রায়ডুর ব্যাটে ভর করেই চেন্নাই চার উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১২ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিলেন দিল্লির দুই ওপেনার কলিন মুনরো এবং পৃথ্বী শ। তবে এই ম্যাচে চেন্নাইয়ের হয়ে অভিষেক করা আসিফ দ্রুতই ফিরিয়ে দেন পৃথ্বীকে। মুনরোকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি।
এরপরই দিল্লির ইনিংসকে গড়ার দায়িত্ব এসে পড়ে অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার এবং ফর্মে থাকে ঋষভ পন্থের কাঁধে। দুজনে মিলে দিল্লির ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও, অহেতুক তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান শ্রেয়স। দিল্লিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন ঋষভ এবং অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্কর। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি। ঋষভের আউট হয়ে যাওয়ার পর, বিজয় শঙ্কর শেষ চেষ্টা করলেও চেন্নাইয়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে থেমে যান তারা।
এদিন নিজের প্রথম আইপিএল খেলতে নামা এনগিডিও যথেষ্ট ভালই বল করেন। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক ধোনি বলেন, “ পিঠ খুবই খারাপ হয়ে আছে, কিন্তু বেশি কিছু করার নেই। আমি এই কারণেই খুব বেশি ট্রেনিংও করছি না। সামান্য ব্যাথাও রয়েছে, কিন্তু আমার মনে হয় আমি ম্যানেজ করে নিতে পারব। আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাল প্ল্যাটফর্ম পাওয়া এবং তারপরই আমি নিজেকে উপরের দিকে প্রমোট করতে পারব। উইকেট দেখে আমরা ভেবেছিলাম আমাদের একজন বিদেশি ব্যাটসম্যান দরকার। ফ্যাফের (দু’প্লেসি) ওপেনিং করায় রায়ডু ব্যাটিং অর্ডারে অনেক বেশি স্থায়িত্ব দিতে পারবে। রায়ডু ব্যাটিং অর্ডারে যে কোনও জায়গাতেই ব্যাট করতে পারে এবং ও যে কোনও দায়িত্ব নিতেই আগ্রহী। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই লুঙ্গি আমাকে প্রবাভিত করেছে। ও যদি ভাল খেলা চালিয়ে যেতে পারে তাহলে তা আমাদের জন্য খুবই ভাল। ছোটো মাঠে এলিমিনেটর্স হতে পারে, এবং আমাদের ডেথ বোলিং নিয়ে ভাবতে হবে। বোলারদের অনুকুল হতে হবে অন্যথায় আমাদের অন্য অপশনের দিকে তাকাতে হবে”।