পুণের এমসিএস স্টেডিয়ামের চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে খেলা দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের লড়াই আরও এক রুদ্ধশ্বাস পরিণতিতে শেষ হল । টসে জিতে এই ম্যাচে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু দিল্লির যাবতীয় পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেন শেন ওয়াটসন, তাকে যোগ্য সঙ্গত করেন এই ম্যাচে চেন্নাইয়ের হয়ে প্রথম ওপেন করতে নামা ফাফ দু’প্লেসি। এই দুজনে মিলে প্রথম উইকেট জুটিতে ১০২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ১০ ওভারে চেন্নাইয়ের রান ছিল বিনা উইকেটে ৯৬। শেন ওয়াটসন চলতি আইপিএলে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন কিন্তু তাকে ৭৮ রানে থামিয়ে দেন দিল্লির স্পিনার অমিত মিশ্রা। অন্যদিকে ৩০ রান করে আউট হন দু’প্লেসিও। এই দুজনের আউট হওয়ার পর সুরেশ রায়নাও দ্রুত আউট হয়ে যান।
এরপরই চেন্নাইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন চেন্নাইয়ের প্রিয় থালা এমএস ধোনি এবং আম্বাতি রায়ডু। রাউডু ৪১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত টিকে ২২ বলে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস খেলে আইপিএলে নিজের দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুর করে, চেন্নাইকে বড় রানের দিকে এগিয়ে দেন ধোনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে দিল্লির সামনে ২১২ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা রাখে তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকে দারুণ শুরুয়াত করেন কলিন মুনরো এবং পৃথ্বী শ। এই ম্যাচে চেন্নাইয়ের হয়ে অভিষেক করা বোলার কে এম আসিফ পৃথ্বী শ’কে তুলে আইপিএলে তার প্রথম উইকেট নেন। কলিন মুনরোকেও এর দ্রুত ফিরিয়ে দেন তিনি। অধিনায়ক শ্রেয়স আইওয়ারও দ্রুত রান আউট হয়ে বিপদে ফেলে দেন দিল্লিকে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল্কে রবীন্দ্র জাদেজা তুলে নেওয়ায় এবং দিল্লির চার উইকেট পড়ে যাওয়ায় দিল্লির হয়ে সমস্ত দায়িত্বই এসে পড়ে ঋষভ পন্থের কাঁধে তাদের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
তিনি দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দিল্লিকে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি নিয়ে যান। কিন্তু লুঙ্গি এনগিডি তাকে তুলে নিয়ে দিল্লির আশায় জল ঢেলে দেন। বিজয় শঙ্করও তার আপ্রান চেষ্টা করেন দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করে কিন্তু ব্যর্থ হন দিল্লিকে লক্ষ্যমাত্রা পার করাতে। অন্যদিকে দিল্লি খানিকটা ক্ষুব্ধ প্রথম বলে শেন ওয়াটসনের আউট টিভি অ্যাম্পায়ার খুঁটিয়ে না দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ায়। ম্যাচ শেষে হতাশ দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার বলেন, “ বোর্ডে অনেকটা রান উঠে গিয়েছিল। প্রথম বলেই উইকেটের ব্যাপারে আমি অভিযোগ জানাতে চাই (হাসি)। এটা আমাদের রাস্তায় যায় নি, এবং এটা ম্যাচেও দারুণ প্রভাব ফেলে দিয়েছে। যে ভাবে ওয়াটসন শুরু করেছিল ওটাই ম্যাচ সম্পুর্ণ বদলে দেয়। আমি শুধু আমি নই, গোটা ড্রেসিংরুম এমনকী আপনি তাই ভাববেন। বল প্রথমে প্যাডে লেগেছিল তারপর ব্যাটে লাগে (হাসি)। আমরা খুবই কাছাকাছি গিয়েছিলাম, এবং পরের ম্যাচে এটাই আমাদের পজিটিভভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বাকি ৬টি ম্যাচের মধ্যে ৬টিতেই আমাদের জিততে হবে এবং যেটা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মোটিভেশন। আমরা যে ভুলগুলো করেছি সেগুলোকে পয়েন্ট আউট করতে হবে, এবং আমাদের শক্তিশালীভাবে ফিরে আসতে হবে। আমাদের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে একটা মিটিং রয়েছে দল পরিবর্তনের ব্যাপারে। যদি আমরা দলকে স্টেবল রাখার চেষ্টা করি তাহলে আমরা আসন্ন ম্যাচগুলিতে ভাল করতে পারব”।