আইপিএলের একাদশ সংস্করণে আবারও করে দেখালো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। এই মরশুমে কম রানকে ডিফেন্ড করে ম্যাচ জেতা অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছে তারা। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ঘরের মাঠ রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হায়দ্রাবাদ নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১৪৬ রানই স্কোরবোর্ডে তুলতে পারে। কিন্তু আরসিবির ব্যাটসম্যানেরা হায়দ্রাবাদের বোলারদের সামনে মাত্র ১৪১ রানই করতে পারে এবং এই ম্যাচ পাঁচ রানে হেরে যায়। শুরুটা হায়দ্রাবাদের জন্য খুবই খারাপ হয়। মাত্র ৪৮ রানের মধ্যেই হায়দ্রাবাদ তাদের দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলস এবং শিখর ধবনসহ মনীশ পান্ডের উইকেটও হারিয়ে ফেলে।
এরপরই হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ৬৪ রানের পার্টনারশিপ গড়লেও কেন উইলিয়ামসনের উইকেট পড়ার পরই ২০ ওভারে মাত্র ১৪৬ রানই অলআউট হয়ে যায় তারা। আরসিবির সামনে খুব বেশি কঠিন লক্ষ্য ছিল না সেই সঙ্গে তাদের শুরুটাই দুর্দান্তভাবে হয়। ৭ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৭০ রান স্কোর বোর্ডে তুলে দেয় তারা।
আরসিবির জেতার দিকে সহজেই এগোচ্ছিল কিন্তু হঠাৎই হায়দ্রাবাদের বোলাররা এই ম্যাচে ফিরে আসে এবং ৮৪ রানের মধ্যে বিরাটসহ পাঁচ উইকেট তুলে নেয় তারা।
এরপরই মনদীপ সিং এবং গ্র্যান্ডহোম আরসিবিকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে কিন্তু শেষ ৩ ওভারে হায়দ্রাবাদ দুরন্ত বোলিং করে এবং দলকে পাঁচ রানে জয় এনে দেয়।
হাদ্রাবাদের জেতার পর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, “আমরা একটা কঠিন সারফেসে খেলছিলাম। এটা এমন একটা উইকেট ছিল যেখানে আমাদের ১৫০ রান বাঁচাতে হত এবং আমরা তা থেকে খুব বেশি দূরে ছিলাম না। তাই এই ম্যাচে আমরা সঠিক ছিলাম। বল হাতে আমরা কিছুটা সংঘর্ষ করেছি এবং ফিল্ডিংয়েও সামান্য খারাপ করেছি। শেষ দিকে যদি ফিল্ডিং ঠিক হত তাহলে আমরা আরও ভালভাবে সামলাতে পারতাম। কিন্তু আমাদের কিছু অভিজ্ঞ প্লেয়াররা জয়ের জন্য শানদার প্রদর্শন করেছেন। ভুবি এবং সিদ্ধার্থ কৌল দীর্ঘ সময় ধরেই ভাল খেলছে।
গত বছরও দুর্দান্ত করেছিল এবারও করছে। আশা করছি ডেথ ওভারে এই পারফর্মেন্স আমরা ধরে রাখতে পারব। আমরা এই সারফেসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছি এটাই সেরা। আমরা অফ পেসড ডেলিভারি ব্যাবহার করার চেষ্টা করছি, এবং ইয়র্কার ব্যাবহার করার চেষ্টা করছি পার্টনারশিপ ভাঙার জন্য। এটাকে যতটা দ্রুত সম্ভব অ্যাডপ্ট করার চেষ্টা করে চলেছি। এটা নিশ্চিতভাবেই খুব কঠিক একটা কাজ। মোমেন্টাম পাওয়ার জন্য এটা খুবই শক্ত একটা সারফেস। একটি লরাঈ করার মত স্কোর দাঁড় করানোর জন্য আমারা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ তৈরি করেছি। এই উইকেটে আমার ধারণা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল একটি কম্পিটিটিভ টোটাল দাঁড় করানো। এটাই আমাদের দরকার ছিল। একসময় এটা খুবই কঠিন মনে হচ্ছিল,এবং আমাদের বোলিং ইউনিট অসাধারণ। অবশ্যই এটা আমাদের সেরা ফিল্ডিং পারফর্মেন্স ছিল না। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ছেলেরা তাদের নার্ভ ধরে রেখেছে যা এই জয় হাসিল করতে আমাদের জন্য লম্বা সফর পার করেছে। ব্যাট এবং বল এই দু ক্ষেত্রেই নিশ্চিতভাবে আমরা একটা দল হিসেবে খেলার চেষ্টা করেছি”।