চলতি মরশুমে ৩৯ তম ম্যাচে রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আরসিবি এবং হায়দ্রাবাদ পরস্পরের মুখোমুখি হয়। এই ম্যাচে আরসিবিকে পাঁচ রানে হারিয়ে তাদের আইপিএল থেকে প্রায় ছিটকেই দিল তারা। এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আরসিবির বোলাররা অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমান করে হায়দ্রাবাদ ব্যাটসম্যানদের উপর চেপে বসে। যদিও কেন উইলিয়ামসন ফের একবার অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন কিন্তু তারপর তাকেও ফিরিয়ে দেয় আরসিবির বোলাররা।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে হায়দ্রাবাদকে ১৪৬ রানেই আটকে দেয় বিরাট কোহলির দল। অন্যদিকে হায়দ্রাবাদের রান তাড়া করতে নেমে একমাত্র অধিনায়ক কোহলি ছাড়া আর কেউই বড় রান করতে পারেন নি। এবং মাত্র ৮৪ রানেই তাদের পাঁচ উইকেট চলে যায়। মাঝের ওভারগুলোতে কলিন ডে গ্র্যান্ডহোম এবং মনদীপ সিং আরসিবির ইনিংসকে সামলানোর চেষ্টা করতে থাকেন এবং এই দুই ব্যাটসম্যান উইকেট পড়াও আটকান।
শেষ ওভারে আরসিবির জেতার জন্য দরকার ছিল ১২ রান, এবং বল যায় ভুবনেশ্বর কুমারের কাছে। কিন্ত শেষ ওভারে মাত্র ৭ রানই দেন ভুবি এবং হায়দ্রাবাদ এই ম্যাচ পাঁচ রানে জিতে নেয়। চলতি আইপিএলে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ আরসিবির ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্সে ক্ষুব্ধ কোহলি প্লেয়ারদের উপর রাগে ফেটে পড়েন। রীতিমতো যাচ্ছেতাই ভাষায় তিনি বলে দেন যে তাদের দল ম্যাচ জেতার যোগ্যই নয়। ম্যাচ শেষে কোহলি বলেন, “এটা খুবই কঠিন হার, কিন্তু এটাই খেলা। আমরা এই ম্যাচে হারের দাবীদার। আজকের দিনে আমরা যথেষ্ট ভাল ছিলাম না। প্রথম ৬ ওভারে ৬০ রানের মত সেখান থেকে এভাবে আমরা শেষ করলাম। আমার মনে হয় না আমরা পর্যাপ্ত আবেদন দেখিয়েছি। যে ধরনের শট আমরা খেলেছি, সেটা ওই স্টেজে দাঁড়িয়ে খেলা ঠিক হয় নি। আমরা মনে হয় আমরা ম্যাচটা ছুঁড়ে দিয়ে এসেছি। আমার মনে হয় আমরা বিপক্ষকে ম্যাচে ফিরতে দিয়েছি। এটা এখনও পর্যন্ত এই মরশুমে আমাদের গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিল্ডিং আপ টু দ্য মার্ক ছিল, কিন্তু আমার মনে হয় আরও ১০-১৫ রান কম হওয়া আমাদের জন্য আদর্শ ছিল।
ব্যাট করার জন্য এটা খুবই কঠিন সারফেস। বল হাতে আমাদের আরও ভাল করতে হবে কিন্তু ফিল্ডিং আমরা আপটু দ্য মার্ক ছিলাম। যদি দলে শক্ত চরিত্র থাকে তাহলে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় আপনি সবসময়ই ভাল ফল করবেন। সানরাইজার্সের দলে সেরকম কিছু প্লেয়ার রয়েছে—সে কারণেই এই মরশুমে তারা সফল। তারা তাদের দলকে বুঝেছে, এবং এটা কারণ যে তারা এতটা সফল হচ্ছে। তারা তাদের শক্তি কি সেটা জানে এবং তাদের লিমিটেশনও তারা জানে।
এটাই তাদের গল্প আর এটা আমাদের। অলরাউন্ডার দল হিসেবে চেন্নাই এবং পাঞ্জাবও ভাল। এবং বোলিং দল হিসেবে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ স্ট্রংগেস্ট দল”।