এই মুহুর্তে অফিস ম্যাচ খেলতে ব্যস্ত শিলিগুড়ির বিখ্যাত পাপালি তথা ভারতীয় ক্রিকেটের টেস্ট উইকেটকীপার ঋদ্ধিমান সাহা। ক্লাব ক্রিকেটের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ না হলেও অফিস লিগের খেলাকেও সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন ঋদ্ধি। ফলে সেখানেও ম্যাচের এক ঘন্টা আগে তিনি পৌঁছে যান মাঠে। এবছর আইপিএলে তিনি খেলবেন হায়দ্রাবাদ দলের হয়ে। ভারতীয় বোর্ডের চুক্তিতেও এ ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছেন ময়দানের পাপালি। তবু এখনও অফিস লিগ হোক বা ক্লাব ক্রিকেট, বাংলার হয়ে খেলা হোক কিংবা ভারতীয় জার্সিতে খেলা, সব ম্যাচই এখনও সমান গুরুত্বপূর্ণ এই বাংলার উইকেটকীপারের কাছে। তার কথায়, “ময়দানে পারফর্ম করেই ক্রিকেটার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। তাই ময়দানের ক্রিকেটকে কখনও অবহেলা করতে পারব না”।
এতটাই সৎ তিনি তিনি ক্রিকেটের প্রতি। সাফল্য তাকে এখনও মাটির কাছাকাছি থাকা থেকে দূর করতে পারে নি। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই তিনি মোহনবাগানের হয়ে ক্লাব ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন। ২০ বলে ১০২ রানের অপরাজিত তার সেই ইনিংসে ওই ম্যাচ জিতে নেয় মোহনবাগান। এদিন অফিসের খেলার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখী হন ঋদ্ধি। স্বভাবতই সাম্প্রতিক বল বিকৃতি নিয়েও তার দিকে ধেয়ে আসে প্রশ্ন। হায়দ্রাবাদের তার সতীর্থ বল বিকৃতির পর অস্ট্রেলিয়ার সহ অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ঋদ্ধি মনে করে যদি আইপিএলে ওয়ার্নারকে না পাওয়া গেলেও অসুবিধা হবে না। তাদের দলে ওয়ার্নারের জায়গা পূরণ করার মত ক্রিকেটের রয়েছেন। ঋদ্ধি বলেন, “ যদি আমাদের দলে ওয়ার্নারকে না পাওয়া যায় তাহলে ওর জায়গা পূরণ করার মতো ক্রিকেটার রয়েছে আমাদের রিজার্ভবেঞ্চে”।
বল বিতর্ক নিয়ে ক্রিকেটারদের শাস্তি নিয়েও নিজের অভিমত প্রকাশ করেছেন ঋদ্ধি। তিনি বলেন, “ এই ঘটনায় অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের সমান শাস্তি হওয়া উচিৎ বলেই আমার মনে হয়”। তবে এখনই এত সব কিছু নিয়ে ভাবতে নারাজ তিনি। ঋদ্ধি এখন পাখির চোখ করেছেন আইপিএলকে। নতুন ফ্রেঞ্চাইজির হয়ে ভালো খেলাই তার লক্ষ্য। ২০১৪র ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। তারপর আর সেভাবে পারফর্মেন্স দেখা যায় নি ঋদ্ধির কাছ থেকে। সে কথাও মাথায় রয়েছে এই ভারতীয় উইকেটকীপারের। এবারে তাই ভালো কিছু করে দেখাতে মরিয়া তিনি।