বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টি২০ প্রফেশনাল লিগ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে কলঙ্কিত করার বছর ২০১৩ র স্পট ফিক্সিং কান্ডকে কে ভুলতে পারে! এই স্পট ফিক্সিং কান্ড আইপিএলের মত বাই প্রোফাইল লিগকে কলঙ্কিত করেছিল। এই নোংরা ঘটনার ষড়যন্ত্রকারীদের জেলে পাঠানো মুম্বাইয়ের প্রাক্তন জয়েন্ট কমিশনার হিমাংশু রায়ের আত্মহত্যা সকলকে অবাক করে দিয়েছে। মুম্বাই পুলিশের এই প্রাক্তন জয়েন্ট কমিশনার ১৯৮৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার ছিলেন। তিনি ২০১৩ সালের স্পট ফিক্সিং কান্ডের দোষীদের জেলে পাঠানোয় বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই সঙ্গে হিমাংশু রায়কে জেডি মার্ডারের মত হাই প্রোফাইল কেসের জন্যও স্মরণ করা হয়।
বহুদিন ধরেই ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন এই আইপিএস অফিসার। প্রসঙ্গত বিশ্ব ক্রিকেটে আইপিএলের ২০১৩র মরশুমের স্পট ফিক্সিং কান্ড আলোড়ন তুলে দিয়েছিল। এই মামলায় বহু হাই প্রোফাইল ব্যক্তিই দোষী হিসেবে সামনে এসেছিলেন, কিন্তু এই দোষীরা হাই প্রোফাইল হওয়া সত্ত্বেও হিমাংশু রায় এই কেসকে দারুণভাবে হ্যান্ডেল করেছিলেন এবং সকলকে চমকে দেওয়ার মত খোলসা করেছিলেন। এই স্পট ফিক্সিং কান্ডের অভিযুক্তদের ধরতে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন হিমাংশু বাবু।
এই আইপিএস অফিসার ভারতীয় ক্রিকেটের তারকা ক্রিকেটার এস শ্রীসন্থ, অজিত চন্দেলা, অঙ্কিত চৌহাণের সঙ্গে সঙ্গে সিএসকের প্রাক্তন মালিক আর বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এন শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ মায়াপ্পনকেও জেরা করেছিলেন।
হিমাংশু বাবু গুরুনাথকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “আমাদের কাছে এই মামলা নিয়ে যে সূচনা ছিল, তা সমিতির সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। যার পর দ্রুত হাইকোর্টকে নিজের রিপোর্ট জমা দেওয়ার আশা রয়েছে”।
শ্রীসন্থকে নিয়ে হিমাংশু বাবু জানিয়েছিলেন, “পুলিশের টিম উক্ত হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার ১৩ মের পরের ফুটেজ হাসিল করে নিয়েছে। এতে এদের ঘটনাকে জুড়তে সাহায্যে করবে আর জানা যাবে শ্রীসন্থের সঙ্গে দেখা করার জন্য কারা কারা এসেছিলেন, এবং শ্রীসন্থকে কোনও মহিলা এসকর্ট উপলব্ধ করানো হয়েছিল কি না?”