সলমনের 'বীর'-এর 'রাজকুমারী যশোধরা' ছোটো থেকেই আফ্রিদিকে ভালোবাসেন 1

অভিনেতা সলমন খানের বিপরীতে বীর সিনেমা দিয়ে বলিউড পা রাখা জরীন খান এখন বিখ্য়াত নাম। এরপর, হেট স্টোরি থ্রি তাঁকে আরও নাম এনে দিয়েছে বোল্ড অবতারে দর্শকদের সামনে আসায়। কিন্তু, প্রশ্ন হলো, সিনেমার খবর খেলার বিভাগে কেন? তাহলে উত্তরটা দেওয়াই যাক। বলিউড আর ক্রিকেট কানেকশন কোনও নতুন কথা নয়। আর ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি পাকিস্তানের ক্রিকেটার হলেও, তাঁর ফ্য়ানের সংখ্য়া কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে রাজনৈতিক বিরোধিতার গেরোয় কখনই আটকায়নি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক চাপা উত্তেজনা পাকিস্তানের অন্য় ক্রিকেটারদের ফ্য়ানবেস খারাপ করে দিলেও, শাহিদ আফ্রিদিকে নিয়ে কাউকে কখনও এদেশে কটু কথা বলতে শোনা যায়না। জাতে পাঠান এই পাক ক্রিকেটারকে ভারতীয়রা সত্যি কথা বলতে মন থেকে খুব ভালোবাসেন। আর সেই ভালোবাসা কোনও রাজনৈতিক বিধিনিষেধে আবদ্ধ নয়। লালা যেমন ওপারের, তেমন এপারের সমান আদরের।

সুদর্শন চেহারা, সুপুরুষোচিত মুখ ও চুলের স্টাইলের তরুণ আফ্রিদি নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি যেমন মহিলা হৃদয়ে ঝড় তুলেছিলেন, তেমন বয়সের সঙ্গে তাঁর স্টাইলে যোগ হওয়া কেতাবী দাড়ি লালাকে মহিলা মহলে আরও সমাদৃত করে তুলেছে। বলিউডের অভিনেত্রী জারিন খান খুব পছন্দ করেন তাঁকে। খুব তাড়াতাড়ি টি টেন ফরম্য়াটে ক্রিকেট খেলা শুরু হবে। দশ-দশ ওভারের ম্য়াচ খেলবে দুই দল। সম্প্রতি আরব আমির শাহিতে সেই কারণেই গিয়েছিলেন জারিন। আফ্রিদির দল পাখতুনস তাঁকে ব্র্য়ান্ড অ্য়াম্বাসাডর করেছে। এখানে বলে রাখা ভালো, ভারতীয় হলেও জন্মসূত্রে জারিনের যোগ রয়েছে পাকিস্তানের পাখতুন খোয়া প্রদেশের সঙ্গে। জাতে পাখতুন এবং তার সঙ্গে আফ্রিদির পাগল ফ্য়ান হওয়ার কারণেই পাখতুনস ফ্র্য়াঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন জারিন।

আরব আরব আমির শাহির রাজধানী দুবাইতে এপ্রসঙ্গে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ফাঁকে পাকিস্তানের এক টিভি চ্য়ানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জারিন বলেন যে তিনি ভারতে জন্মালেও, তাঁর পরিবার পাকিস্তানি। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্য়ে হিংসা নয়, শান্তির বাতাবরণ দেখতে চান তিনি। আফ্রিদি প্রসঙ্গে জারিন বলেন, আমি একেবারে প্রথম দিন থেকেই আফ্রিদির ফ্য়ান। সেই যেদিন ও প্রথম ম্য়াচ খেলতে নেমেছিল, তখন ওর বয়স মনে হয়, ষোলো হবে। বত্রিশ না পঁয়ত্রিশ বলে একশো রান করেছিল। ওর চুলের স্টাইল আর সুদর্শন রূপের অনুরাগী আমি। ওর সঙ্গে দেখা করার খুব ইচ্ছে ছিল। এখানে এসে ওর সঙ্গে দেখা হওয়ায়, সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তাই পাখতুনস ফ্র্য়াঞ্চাইজির মালিক হাবিব খান যখন আমার কাছে এসে ব্র্য়ান্ড অ্য়াম্বাসাডর হওয়ার প্রস্তাব রাখেন, আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই। বলেও ফেলি, প্লিজ, আমায় ক্রিকেট খেলতে দেবেন!

আগামী ডিসেম্বরে এই টি-১০ টুর্নামেন্টের আসর বসবে। আরব আমির শাহী নিজস্ব উদ্য়োগে দশ-দশ ওভারের এই ক্রিকেট ফরম্য়াটের সূচনা করছে। পাকিস্তান থেকে শাহিদ আফ্রিদি, ভারতের বীরেন্দ্রে সেহওয়াগ, শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা এবং ইংল্য়ান্ডের ইয়ন মর্গ্য়ানোর মতো বিগ হিটারদের এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে দর্শকদের আকর্ষণ করার জন্য। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক মিসবা-উল-হক এবং বাংলাদেশেক স্টার অলরাউন্ডার শাকিব আল-হাসানকেও এই টুর্নামেন্টে খেলতে দেখা যাবে।

লিগের প্রেসিডেন্ট সলমন ইকবালের আশা তাঁদের উদ্য়োগ সফল হবে। মারাঠা আরবিয়ান্স, পাঞ্জাবি লেজেন্ডস, বাংলা টাইগার্স, কেরালাইটস কিং, কলম্বো লায়ন্স এবং পখতুনস – এই ছটি ফ্র্য়াঞ্চাইজিকে নিয়ে ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর চারদিনে এই টুর্মামেন্টের আয়োজন করা হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *