প্রাক্তণ ভারতীয় মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ভি ভি এস লক্ষণ বর্তমান প্লেয়ারদের মধ্যে তার স্বপ্নের একাদশ বেছে নিলেন। প্রাক্তণ এই স্টাইলিশ হায়দ্রাবাদী ব্যাটসম্যান চাপের মুখে খেলতে পারা অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন, এবং দ্বিতীয় ইনিংসে তার এক্সেপশনাল ব্যাটিংয়ে ভারতকে বহু ম্যাচ জিতিয়ে ছিলেন তিনি। তিনি অস্ট্রেলিয় বোলারদের কাছে আতঙ্ক ছিলেন। সেই সময় তিনি বিশ্বের এক নম্বর টিমের বিরুদ্ধে তার দুরন্ত ফর্ম ভীষণই উপভোগ করতেন। সেই সময় অস্ট্রেলিয়া নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা টিম ছিল।
এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে লক্ষণের টেস্ট রেকর্ড এবং ওয়ান ডে রেকর্ডও ছিল বিস্ময়কর। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০০১ এ কলকাতা টেস্টে তার ২৮১ রানে ইনিংস টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ছিল, এবং আগামি দিনের থাকবে। যে ভাবে অবজ্ঞার সঙ্গে তিনি অস্ট্রেলিয় বোলারদের সামলেছিলেন, বিশেষ করে যখন ভারত হারের মুখে দাঁড়িয়েছিল , সেই সময় তার অসীম আত্মবিশ্বাসের প্রমান পাওয়া যায়। তার পরের বছর গুলিতেও তিনি ভারতের জন্য অনেক স্মরণীয় ইনিংস খেলেছিলেন, কিন্তু কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের মত কোনোটাই অতটা স্মরণীয় হয়ে ওঠে নি। তাঁর স্বপ্নের একাদশে ওপেন করার জন্য তিনি ফ্ল্যামবয়েন্ট অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার এবং হাসিম আমলাকে বেছেছেন। তারপর তিনি কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিমিয়ামসনকে বেছেছেন ৩ নাম্বারে ব্যাটিং করার জন্য এবং তারপরে নিয়েছেন বিরাট কোহলিকে। কোহলি এবং উইলিয়ামসন এই মুহুর্তে আধুনিক ক্রিকেটের দুই সেরা ব্যাটসম্যান হিসবে পরিচিত। ফলে এই দু’জনই লক্ষণের কাছে অটোমেটিক চয়েস হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
৫ এবং ৬ নম্বর পজিশনের জন্য যাদের বেছেছেন লক্ষণ তারা দুজনেই নিজে নিজের দেশের অধিনায়ক। যেখানে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুটকে বেছেছেন ৫ নাম্বার পজিশনের জন্য, সেখানে ৬ নাম্বার পজিশনে জায়গা পেয়েছেন অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। উইকেট কিপার হিসেবে এবি ডেভিলিয়ার্স, এবং অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিব অল হাসান লক্ষণের দলে জায়গা পেয়েছেন। সাকিবের জন্য অন্য স্পিনার হিসেবে দলে জায়গা করে নিয়েছেন রবি চন্দ্রন অশ্বিন। পেস বিভাগে দুই অস্ট্রেলিয় মিচেল স্টার্ক এবং জোস হ্যাজেলউড জায়গা পেয়েছেন যাদের পোটেনশিয়ালিটির কারণে তারা অন্যদের থেকে এগিয়ে আছেন এবং এই দু’জন অস্ট্রেলিয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা দুই পেস জুটি।