প্রথম ইনিংসে গেইলের ইনিংস আর পরে মুজিবের বোলিংই এই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয় : মহেন্দ্র সিং ধোনি

পাঞ্জাবের ঘরের মাঠে আরও এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পরিসমাপ্তি হল চেন্নাই সুপার কিংসের জন্য। এই নিয়ে পরপর তৃতীয়বার তারা ১৯০ রানের বেশি রান তাড়া করতে নামল এই মরশুমে। তবে এই রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে চেন্নাইয়ের দুর্ভাগ্য যে তারা পাঞ্জাবের রান থেকে মাত্র চার রান দূরেই তাদের থেমে যেতে হল। আর এই ম্যাচকে রুদ্ধশ্বাস লড়াইতে পরিনত করলেন সেই ঠান্ডা মাথার শান্ত মানুষটি যিনি বহুবার তা করেছেন দেশের হয়ে এবং হলুদ জার্সির জন্য। তিনি এমএস ধোনি। খাদের ধার থেকে দলকে তুলতে যিনি সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে জীবন লড়িয়ে দিলেন মারাত্মক পিঠে ব্যাথা নিয়েও। তবে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেও মানুষের হৃদয় জিতে নিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, যা এমনকী পাঞ্জাবের এই জয়কেও মলিন করে দিয়েছে। যে সময় ধোনি ব্যাট হাতে ক্রিজে নামেন তখন তার দলের অবস্থান ছিল ৫৬/৩। সেখান থেকে দলের ১৬ ওভার পর্যন্ত সমস্ত চাপই শুষে নে তিনি। ১৭ ওভার থেকেই ডার্ক হর্সের মত ধোনি শুরু করেন ব্যাটের বিস্ফোরণ। বেশ কিছু অবিশ্বাস্য ছক্কা মেরে এই ম্যাচকে তিনি নিয়ে যান শেষ ওভার পর্যন্ত। শেষ বলে ছক্কা মেরে ৪৪ বলে ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেও দলকে বিপক্ষের লক্ষ্যমাত্রা পার করাতে পারেন নি তিনি। তবে তা না পারলেও দলের সতীর্থ এবং ভক্তদের হৃদয় জিতে নিয়েছেন তিনি।

প্রথম ইনিংসে গেইলের ইনিংস আর পরে মুজিবের বোলিংই এই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয় : মহেন্দ্র সিং ধোনি 1

মুজিবের প্রশংসা পঞ্চমুখ ধোনি

আগাগোড়াই এই ম্যাচে ধোনি ছিলেন বরফের মত শীতল এমনকী তার এই কাম অ্যাণ্ড কুল মনোভাব চলে ম্যাচ হেরে যাওয়ার পরও। ধোনির মুখের ভাব কোনও কিছুতেই বদলায় না যা তাকে এই খেলার শ্রেষ্ট ম্যাচ রিডায় হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়। এই ম্যাচ শেষে তিনি আফগানিস্থানের তরুণ স্পিনার মুজিব জর্ডনের ভূসয়ী প্রশংসা করেন। ম্যাচ শেষে দেওয়া ইন্টারভিউতে ধোনি বলেন, “ এই মুহুর্তে অনেক কিছুই আমার মাথায় আসছে না। ওরা দারুণ বল করেছে, মুজিবই পার্থক্য গড়ে দেয়। মাঠে খুব বেশি শিশির ছিল বলে আমার মনে হয় না। আমাদের থেকে ভালো খেলেছে ওরা। আমরা এখনও বেশ কিছু জায়গায় উন্নতি করতে পারি। প্রথম ইনিংসে গেইলের ব্যাটিং এবং পরে মুজিবের বোলিংই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে”।

প্রথম ইনিংসে গেইলের ইনিংস আর পরে মুজিবের বোলিংই এই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয় : মহেন্দ্র সিং ধোনি 2

ঈশ্বর কে ধন্যবাদ

ম্যাচের পর দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের চোট নিয়েও কথা বলেছেন ধোনি এবং ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তাকে যথেষ্ট শক্তি দেওয়ার জন্য। এই ৩৬ বছর উইকেটকীপার বলেন, “ জানি না আমার পিঠের অবস্থা কতটা খারাপ কিন্তু আশা করছি এটা ঠিক হয়ে যাবে। ঈশ্বর আমাকে যথেষ্ট শক্তি দিয়েছেন, তাই খুব বেশি চিন্তা করার দরকার নেই আমার পিঠের অবস্থা নিয়ে। হয়ত এটা খুব বেশি খারাপ হবে না। চোট নিয়ে খেলতে অভ্যস্ত আমি। আপনাকে কঠিন হতেই হয়”।

ম্যাচ শেষে কথা বলতে গিয়ে ধোনি নিজের চোট নিয়েও আপডেট দিয়েছেন এবং ভগবানকে ধন্যবাদ দিয়েছে তাকে যথেষ্ট শক্তি দেওয়া জন্য। এই ৩৬ বছর বয়েসি সিএসকে অধিনায়ক বলেন, “ আমি জানি না আমার পিঠের অবস্থা কতটা খারাপ কিন্তু এটা ঠিক হয়ে যাবে। ভগবান আমাকে যথেষ্টই শক্তি দিয়েছেন তাই আমার পিঠের অবস্থা নিয়ে আমার চিন্তা করার দরকারই নেই। এটা হয়ত খুব বেশি খারাপ হবে না। আমি চোট নিয়ে খেলতে অভ্যস্ত। আপনাকে শক্ত হতেই হয়”।

প্রথম ইনিংসে গেইলের ইনিংস আর পরে মুজিবের বোলিংই এই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয় : মহেন্দ্র সিং ধোনি 3

ব্র্যাভোকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরের দিকে না পাঠানো

ওই ইন্টারভিউতে তাদের ইনিংসে যখন দলের দরকার ছিল প্রায় ওভার প্রতি ১৩ রান তখন ডোয়েন ব্র্যাভোকে উপরের দিকে না পাঠানো নিয়েও কথা বলেছেন ধোনি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, “ ফ্লেমিং ডাগ আউটে ছিল এবং ওর সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার ছিল। জাদেজার উপর আমাদের বিশ্বাস ছিল, কারণ ও একজন বাঁহাতি হওয়ায় বোলারদের পক্ষে তা খুব একটা সহজ হত না। এটাই সঠিক সময় যখন আমাদের উচিৎ ওকে সুযোগ দেওয়া। ফ্লোটারের কাজটা যদি জাদেজা ঠিক ভাবে করতে পারে তাহলে তা দলের পক্ষেই মঙ্গল। এছাড়াও টপ অর্ডারে আমাদের হাতে রায়নাও রয়েছে। আমি ওর পাশেই দাঁড়াব কারণ আমরা ওকে খুব একটা সুযোগ দিই নি”।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *