শুক্রবার (২ মার্চ) অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার মাইকেল ক্লিঙ্গার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তার শেষ বিবৃতিতে ক্লঙ্গার প্রকাশ করেছেন যে এটা তার কাছে একটা দারুণ শেখার মত অবস্থা। এবং তিনি আরও বলেছেন যে এটা তার কাছে দারুণ গর্বের ছিল যে বিবিএলে পার্থ স্কচার এবং ওয়ারিয়ারের প্রতিনিধিত্ব করে প্রতিষ্ঠিত বহু ট্রফি জেতা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া বিবৃতিতে ক্লিঙ্গার জানান, “ এই সমস্ত সময়কাল ধরে, শিখেছি প্রফেশনালিজম, এফেক্টিভ কমিউনিকেশনের ব্যাপারে। এই সময় মজা করেছি, এবং আমি ভীষণই ভাগ্যবান যে আমি স্কচার এবং ওয়ারিয়রের চারটি ট্রফি জেতা দলের সদস্য ছিলাম। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার সেশন শেষ হতে চলেছে আট ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২টি ম্যাচ জিতে। জেএলটি শেফিল শিল্ডের সেশনে ছটি দলের মধ্যে এই মুহুর্তে ওয়ারিয়র দল দাঁড়িয়ে আছে পঞ্চম স্থানে। এছাড়াও শিল্ড সেশনে ওয়ারিয়রের ফাইনাল ম্যাচ খেলা নিশ্চিত হয়ে রয়েছে।
ম্যানেজমেন্ট আরও জানিয়েছে যে তারা ক্লিঙ্গারকে ইন্ট্রোডিউস করবেন প্রয়োজনের হিসেবে। বিবিএলের সপ্তম সংস্করণে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ক্লিঙ্গার স্কচারের হয়ে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ মিস করেছেন। একটি বিবৃতিতে এই ৩৭ বছর বয়েসী ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন, “ আমি ভীষণই ভাগ্যবান এবং ব্লেসড যে একটানা ১৯ বছর ধরে আমি অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরেছি। এবং আমি এর প্রতিটি মিনিটকে ভালোবেসেছি এবং অ্যাপ্রিশিয়েট করেছি”। ২০১৭র বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর ক্লিঙ্গার আবারও শিল্ডের চলতি সংস্করণ মিস করেছেন। বিশেষ করে ক্লিঙ্গার নিজের কেরিয়ারের সবচেয়ে খারাপ সময় দেখে ফেলেছেন। যার ফলে দেখা যায় তার স্ত্রী ক্যান্ডির ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ক্লিঙ্গার আরও জানান, “ আমি আরও ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার পরিবারকে তাদের সমস্ত সহযোগিতার জন্য। বিশেষ করে আমার স্ত্রী ক্যান্ডি, এবং সন্তান বেইলি, সামার এবং এস্টনকে। যারা আমার সঙ্গে গত দশ বছর ধরে ট্রাভেল করেছে অন্তঃরাজ্যের এবং বিদেশ দুই সফরেই। এবং সেই সঙ্গে আমাকে সেরা সুযোগ দিয়েছে আমার স্বপ্নকে সফল করতে”।
এই ৩৭ বছর বয়েসি ক্লিঙ্গার যদিও তার আন্তর্জাতিক উপস্থিতির জানান দেন ২০১৭র ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। দুর্ভাগ্যবশত তিনি অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে খেললেও টেস্ট দলে সুযোগ পাননি। এছাড়াও পেছনে বিশাল ক্রিকেট অভিজ্ঞতা থাকার কারণেই ক্লিঙ্গার ইংল্যন্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লাস্টারশায়ার এবং ওয়ার্স্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেন। এগং ঘরের মাঠে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং ভিক্টোরিয়ার হয়ে খেলেন। অভিজ্ঞ ক্লিঙ্গার তিনটি আন্তর্জাতিক টি২০তে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন। ৪৭.৬৬ গড়ে তিনি ১৪৩ রান করেন। এবং তার ঝুলিতে একটি হাফ সেঞ্চুরিও রয়েছে। মজার ব্যাপার ওয়ারিয়র্সের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে ১৮০টি ম্যাচে মাইকেল ক্লিঙ্গার ৩৯.২০ গড়ে ১১,৩২০ রান করেন। ১৯৯৮ থেকে ২০১৭র মধ্যে তিনি ৩০টি সেঞ্চুরি এবং ৪৯টি হাফ সেঞ্চুরি করেন।