”ইশান্ত (শর্মা) রিজার্ভ বেঞ্চে বসে আছে। জসপ্রীত বুমরাহ রয়েছে। মানে আমি বলতে চাইছি, আমাদের হাতে পাঁচ-ছ‘জন পেস বোলার তৈরি রয়েছে। আর আমরা এখন যে ধরনের ক্রিকেট খেলছি আর আগামী মাসে খেলব, তাতে বলতে পারি, ওই পাঁচ-ছ‘জন ফাস্ট বোলারকে আমাদের লাগবে। টেস্ট ক্রিকেট কেন ওয়ান-ডে এবং টি-২০ ফরম্য়াটেও লাগবে।” গত শুক্রবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্য়াচের দ্বিতীয় দিনের ফাঁকে একটি সংবাদ সরবরাহকারী সংস্থাকে এই কথা বলেন ক্রিকেট থেকে সদ্য় অবসর নেওয়া দিল্লির বাঁ-হাতি পেস বোলার আশিস নেহরা।
আগামী জানুয়ারি মাসে ভারতীয় ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফর যাবে। প্রোটিয়াদের দেশে বিরাটবাহিনী তিনটি টেস্ট, ছ‘টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্য়াচ এবং তিনটি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্য়াচে অংশ নেবে। তারপর ‘ইংলিশ সামার‘-এ ভারত ইংল্য়ান্ড সফর করবে। আর ২০১৮ বছরের শেষ দিকে নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবেন বিরাটরা। ২০১৯ সালে জানুয়ারী মাস পর্যন্ত গড়াবে ওই সফর।
এদিকে, ইডেনের উইকেটে সবুজ আভা নিয়ে অত্য়াধিক কথা হচ্ছে। তারপরে দ্বিতীয় দিন খেলা বৃষ্টি পণ্ড করে দেয় একেবারে। যাইহোক ইডেনের উইকেট নিয়ে এতো বেশি কথা হওয়াটা একেবারেই পছন্দ হয়নি আশিস নেহরার। বললেন, ”উইকেট বেশ ভালো। বৃষ্টি হয়েছে, তাই আর্দ্রতার জন্য় উইকেট ভিজে অতো সবুজ লাগছে। এক-দু‘ওভার খেলা হলেই উইকেট ক্রিকেটের জন্য় আদর্শ মনে হবে।”
”এই পিচে সিম, সুইং, বাউন্স সব আছে। আর তার কারণ বৃষ্টিভেজা পরিবেশ। আমি নিজে চোখে খেলা দেখিনি। তবে, হায়দরাবাদে বা নাগপুরে হবে – (দক্ষিণ আফ্রিকার) ডেল স্টেইন পাঁচ-ছ‘টা উইকেট নিয়েছিল একবার। সেখানে সুইং নয়, সিমের কারণে অতোগুলি উইকেট নিয়েছিল ও। বোলার নিজেই জানত না, বৃষ্টিভেজা পরিবেশে অতোটা সিম আদায় করে নেবে উইকেটে থেকে, তো ব্য়াটসম্য়ান কি করে জানবে? কখন বোলারের হাত থেকে কি বেরিয়ে আসবে, কেউ জানে না। এই যেমন বিরাটের আউটটা। লকমল আউট সুইং বল করতে গিয়েছিল। আর ওটা পিচ হওয়ার পর ভেতরে ঢুকে আসে। বোলার নিজেই জানত না।”
নেহরার মতে ভারত যদি টসে জিতত আর শ্রীলঙ্কাকে ব্য়াট করতে পাঠাতো, তাহলে এরকমই হালো হতো অতিথি দলের। ”ইদানিং শ্রীলঙ্কা দল যা ক্রিকেট খেলছে, তাতে হয়তো ভারতীয় বোলাররা ৫০-৬০ রানের মধ্য়েই ওদের সবাইকে আউট করে দিত।”
ভারতের এই প্রাক্তন তারকা বোলারের মতে কলকাতার বৃষ্টিভেজা পরিবেশে ইডেনের পিচ যেমন আচরণ করেছে ম্য়াচের দ্বিতীয় দিন, সেরকম পিচে ভারতীয় দলকে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে হবে। প্রথম টেস্টে এধরণের আবহাওয়া আর পিচে খেলে নেওয়ায় ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে একটা প্র্য়াক্টিস পেয়ে গেলো বলে মনে করছেন আশিস। তিনি আরও বলেন, ”দক্ষিণ আফ্রিকায় কোকাবুরা বলে খেলতে হবে। ওই বলে আরও বেশি বাউন্স, সিম ও সুইং আদায় করে নেওয়া যায়। জো‘বার্গে ভালো পরিবেশ থাকে। গোটা দক্ষিণ আফ্রিকাতে ইডেনের মতো পরিবেশ পেলেও ভারতীয়দের জন্য় অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।”